সদ্য সংবাদ
শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার আ.লীগের লিফলেট বিতরণ

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া সম্প্রতি আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তিনি আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেন। এর মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল অনুসন্ধান করে দেখা যায়, তিনি শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ সমর্থক এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কঠোর সমালোচক। ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ তিনি শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে পোস্ট করেন, "বিজয় আসবেই"।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হলেও মুকিব মিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর কিছু পোস্টে তিনি ড. ইউনূসকে আক্রমণ করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি লিখেছেন "লোভে পাপ, পাপে ইউনূস", "ইউনূস বাহিনীর নির্যাতন নাৎসি হিটলারকেও হার মানায়", এবং "জঙ্গি ইউনূসের দিন শেষ"।
এই ধরনের পোস্ট সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩(খ) ধারা লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে এবং তাকে ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মুকিব মিয়া ৬ অক্টোবর নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে বদলি হন, তবে সেখানে মাত্র একদিন উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের কলেজে বদলি করা হয়, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সাড়ে তিন মাসে তিনি একদিনও কর্মস্থলে যাননি। তিনি অনলাইনে যোগদানের আবেদন করলেও তাঁর কাগজপত্র জমা পড়েনি।
এ বিষয়ে মুকিব মিয়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, "ড. ইউনূস সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, আমি তার প্রতিবাদ করছি। আওয়ামী লীগও একই প্রতিবাদ করছে। তাই আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ আমার অধিকার।" চাকরিতে যোগ না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, তিনি তিন মাসের অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেছেন, তবে তাঁর সঙ্গে কোনো চিকিৎসকের সুপারিশপত্র জমা দেননি।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবেন না বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই বিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকরিচ্যুতির ব্যবস্থা হতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, মুকিব মিয়া বিরুদ্ধে নেওয়া প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত কোন দিকে মোড় নেয় এবং এই বিতর্কের পরিণতি কী হয়।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকট শব্দ হতে পারে, আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার পরামর্শ
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!