বাংলাদেশ ইস্যুতে আলোচনা, নীরব থাকলেন জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন, যেখানে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, এই আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ উপলক্ষে ওয়াশিংটনে জয়শঙ্কর

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সফরের অংশ হিসেবে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু

বৈঠকে বাংলাদেশ সম্পর্কিত আলোচনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় হয়। তবে, বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

জয়শঙ্করের সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

এস জয়শঙ্কর বৈঠকের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি মার্কো রুবিওকে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের দৃঢ় সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করেন। জয়শঙ্কর আরও জানান, বৈঠকে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে মতবিনিময় হয়েছে। তবে, বাংলাদেশ ইস্যুতে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো তথ্য দেননি।

বাংলাদেশ ইস্যুতে গোপনীয়তা

সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেছেন, “বাংলাদেশ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তবে, এই বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাই না।” তার এই বক্তব্যে বাংলাদেশ ইস্যুতে চলমান কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা আরও বেড়েছে।

ভারত-মার্কিন সম্পর্কের দৃঢ়তা

জয়শঙ্কর এবং রুবিওর বৈঠকটি শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভারসাম্য নিয়ে গুরুত্ব বহন করছে। ভারত-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময় এই বৈঠকের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা ছিল।

বাংলাদেশ ইস্যুতে জয়শঙ্করের গোপনীয়তা বজায় রাখা বিভিন্ন মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।