লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাস, মুক্তির বিষয়ে যা জানা গেল

বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ (১৪ জানুয়ারি) এই রায় ঘোষণা করা হয়, যা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) পৌঁছাবে আজই। তার আইনজীবী শিশির মনির জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাবর মুক্তি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করার পর আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, "আজই কারামুক্তি পাবেন"। এদিকে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, "কারামুক্তির কাগজপত্র একটার পর একটা পাচ্ছি, তবে সব এখনো এসে পৌঁছায়নি। আজ পৌঁছালে আজই মুক্তি পাবেন বাবর।"

এই রায়ের ফলে বাবরের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এর আগে, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম ঘাট থেকে দশ ট্রাক অস্ত্র জব্দ হওয়ার পর এই মামলার সৃষ্টি হয়। পরে অস্ত্র আইনের মামলায় বিচারিক আদালত বাবরসহ ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন, তবে হাইকোর্টের রায়ে ৫ আসামি খালাস পেয়েছেন, তাদের মধ্যে বাবরও আছেন।

উল্লেখযোগ্য যে, বাবর ছাড়াও অন্যান্য খালাস পাওয়া আসামির মধ্যে রয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন তালুকদার, ইউএফএল-এর সাবেক মহাব্যবস্থাপক এ কে এম এনামুল হক, এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমীন।

অন্যদিকে, ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে রয়েছেন এনএসআই-এর সাবেক পরিচালক সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ, সাবেক উপপরিচালক মেজর লিয়াকত হোসেন, সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, এবং চোরাকারবারী হাফিজুর রহমান। মৃত্যুর কারণে যাদের আপিল বাতিল হয়েছে, তারা হলেন এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক আব্দুর রহিম, জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চোরাকারবারি দীন মোহাম্মদ, এবং চোরাকারবারিদের সহযোগী হাজী আবদুস সোবহান।

এটি ছিল ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর রায়, যেখানে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় ১৪ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তবে হাইকোর্ট এই রায়ে বাবরসহ ৫ জনকে খালাস দিয়েছেন।