সদ্য সংবাদ
নতুন করে ১৮টি কঠিন সিদ্ধান্ত নিল সরকার, দেখেনিন সিদ্ধান্ত গুলো কি কি

দেশের অভ্যন্তরে এবং সীমান্ত এলাকায় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, চোরাচালান দমন এবং অন্যান্য অপরাধ নির্মূলসহ নানা বিষয় নিয়ে এই সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সচিবালয়ের নিরাপত্তা রক্ষায় গৃহীত সিদ্ধান্ত
১. সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সচিবালয়ে রাত্রীকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ/কর্মচারী ব্যতীত অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
২. সচিবালয়ের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির পাস ইস্যু করা যাবে না।
৩. সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের পাশাপাশি সচিবালয়ে প্রবেশ পাস ইস্যু করতে হবে এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।
৪. সচিবালয়ের গাড়ি ছাড়া অন্যান্য গাড়ির স্টিকার প্রদান বন্ধ রাখা হবে, এবং প্রতিটি গাড়ির যাত্রীদের চেক করা হবে।
৫. সচিবালয়ের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এবং পর্যাপ্ত গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৬. সচিবালয়ের ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ির সহজ প্রবেশের জন্য অপ্রয়োজনীয় শেড এবং ফুটওভার ব্রিজ অপসারণ করা হবে।
৭. সরকারি দফতরে অপ্রয়োজনীয় ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন পরিহার করতে হবে এবং সচিবালয়ের ভেতরের পরিত্যক্ত গাড়ি অপসারণ করতে হবে।
৮. সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ২৪/৭ সময়ে কর্মকর্তা নিয়োজিত রাখতে হবে এবং দায়িত্ব পালনের জন্য রোস্টার/ম্যাপ তৈরি করা হবে।
অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ ও অপরাধ নির্মূলে গৃহীত সিদ্ধান্ত
৯. পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১০. সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান চালানো হবে এবং নিয়মিত তল্লাশি পরিচালনা করা হবে।
১১. সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় শাড়ি/কাপড় চোরাচালান বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে।
১২. সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে এবং সীমান্ত এলাকায় আনসার ও ভিডিপি বাহিনীকে অধিকহারে মোতায়েন করা হবে।
১৩. চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
১৪. ভিআইপি/ভিভিআইপি প্রটোকলে কৃচ্ছতা সাধন করা হবে।
১৫. জেলা/উপজেলা পর্যায়ে সার ও খাদ্য ডিলারদের কার্যক্রম নজরদারিতে রাখা হবে।
১৬. পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো সংক্ষিপ্তসার আকারে প্রেরণ করা হবে।
১৭. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে প্রতিকূল বুদ্ধিমত্তার উপাদান নিয়ে কাজ করতে হবে।
১৮. বিএনসিসিতে মেধাবী ও কর্মঠ অফিসারদের পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও সুদৃঢ় করবে এবং দেশের অভ্যন্তরে শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও অপরাধ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।