ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

নেচারের সেরা ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১০ ১৮:০৭:৩৬
নেচারের সেরা ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার ২০২৪ সালের জন্য বিজ্ঞানের উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকার সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নেচার ড. ইউনূসকে “নেশন বিল্ডার” বা জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নতুন ধারণা তৈরি এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। গবেষণার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং নতুন পথ তৈরি করাই তার দীর্ঘ কর্মজীবনের বৈশিষ্ট্য।

২০২৪ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নেতৃত্বে ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। তার নেতৃত্বে বর্তমানে দেশ পুনর্গঠনের কাজ চলছে। ড. ইউনূসের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—দুর্নীতি প্রতিরোধ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষা।

১৯৭০-এর দশকে ক্ষুদ্রঋণের ধারণা শুরু করেছিলেন ড. ইউনূস। তার উদ্ভাবনী মডেল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। পরে ১৯৮৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংক, যা বিশ্বজুড়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

নেচারের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছেন বিজ্ঞানী একহার্ড পেইক, যিনি কোয়ান্টাম অপটিক্স এবং পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানে অবদান রেখেছেন। তাকে “ফাদার টাইম” হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

নেচার বলছে, ড. ইউনূসের জীবনজুড়ে গবেষণা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা তাকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন তার নেতৃত্বে একটি নতুন ভবিষ্যৎ দেখার আশায় আছে।

ড. ইউনূসের এই অর্জন শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্যের প্রতিফলন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জন্যও এক বড় সম্মান। বিশ্ব মঞ্চে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনার পাশাপাশি তিনি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ