গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যত কোটি টাকার প্রাইজমানি পেল রংপুর রাইডার্স

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এ এখনও শিরোপা না পেলেও, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্স সাফল্যের নতুন ইতিহাস গড়েছে। বিপিএলের গত মৌসুমে তারা সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছালেও শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায়। কিন্তু তাদের ভাগ্য বদলেছে গ্লোবাল সুপার লিগে, যেখানে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাজিমাত করেছে।

রংপুর রাইডার্সের প্রাইজমানি ছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা (৫ লাখ ডলার)। এটি ছিল শুধু শিরোপা জয়ের পুরস্কারই নয়, এর আগে টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে দুটি ম্যাচ জিতে তারা আলাদা অর্থ পুরস্কার পায়। প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য তারা পেয়েছে ৫০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ টাকা। ফলে, সব মিলিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রংপুর রাইডার্স প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার পুরস্কার তুলে নিয়েছে।

ফাইনালে রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ভিক্টোরিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রংপুর ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে। সৌম্য সরকার ৫৪ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান। অন্য ওপেনার স্টিভেন টেলরও ৬৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। এই ১৭৮ রান ছিল গায়ানায় আয়োজিত প্রথম গ্লোবাল সুপার লিগে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে, ভিক্টোরিয়া মাত্র ১৮.১ ওভারে ১২২ রানে অলআউট হয়ে যায়। রংপুর ৫৬ রানে জয় পেয়ে শিরোপা জয় করে। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন জো ক্লার্ক, যিনি ২২ বলে ৪০ রান করেন। রংপুরের বোলিং ছিল দুর্দান্ত, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিনার হারমিত সিং ৩ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়া শেখ মেহেদী, সাইফ হাসান ও রিশাদ হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।

এটি রংপুর রাইডার্সের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেহেতু ২০১৭ সালে প্রথম বিপিএল শিরোপা জিতলেও তখন দলটির নাম ছিল 'রংপুর রেঞ্জার্স' এবং মালিকানা ছিল আলাদা। তবে ২০২৩ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানায় নতুন যাত্রা শুরু হয়, নামও পরিবর্তিত হয়ে হয় ‘রংপুর রাইডার্স’।

রংপুর রাইডার্সের এই চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করেছে।