সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা তার বিরুদ্ধে ওঠা নানা বিতর্কের বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, বিশেষত ২৮টি বিয়ের বিষয়টি, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এ অভিযোগের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় স্বামী কামরুল হাসান জুয়েল এবং তৎকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদকে দায়ী করেছেন।

২৮টি বিয়ের অভিযোগের বিষয়ে রোমানার বক্তব্য:

রোমানা স্বর্ণা দাবি করেছেন, "২৮টি বিয়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর কোনো প্রমাণ কেউ উপস্থাপন করতে পারেনি। যদি এমন কোনো প্রমাণ থাকে, তবে সেটা জনসম্মুখে আনা হোক।" তিনি স্পষ্টভাবে জানান, এসব অভিযোগ শুধু তার চরিত্র হননের জন্য প্রচারিত হয়েছে।

মামলার জটিলতা ও নির্যাতনের অভিযোগ:

রোমানা অভিযোগ করেছেন যে, তার দ্বিতীয় স্বামী কামরুল হাসান জুয়েল তাকে বিয়ের পর নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। তিনি বলেন, "বিয়ের পর আমাকে অভিনয় করতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং এমনকি আমার সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।"

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ কর্মকাণ্ড:

রোমানা আরও অভিযোগ করেন, তার স্বামী জুয়েল তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, "এই সম্পর্কের কারণে আমি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পড়েছি।" এছাড়াও, তিনি জানান, জুয়েল হুন্ডির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং এর মাধ্যমে অর্থ পাচারের কাজটি পরিচালনা করতেন।

ক্যারিয়ারে বাধা:

রোমানা জানান, বিয়ের পর তাকে তার অভিনয় ক্যারিয়ার থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। তার মতে, এই বাধা তার ক্যারিয়ারে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

স্বর্ণার অভিনয় জীবন:

রোমানা স্বর্ণা বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে ‘পদ্ম পাতার জল’ এবং ‘রান আউট’ অন্যতম। তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ‘আউট অফ দ্য বক্স’ সিনেমার মাধ্যমে।

ভবিষ্যতে আরও তদন্তের দাবি:

রোমানার অভিযোগগুলোর সত্যতা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছে, তবে তার কিছু অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার অভিযোগের মধ্যে নতুন তথ্য উঠে এসেছে, যা ভবিষ্যতে আরও আলোচনার সৃষ্টি করতে পারে।

এই ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে, বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। এর ফলে, অবশেষে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।