দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে রান তুলতে না পারার সাথে দ্রুত উইকেট হারানোর মিছিলে জড়িয়েছে টাইগাররা। প্রথম দিনের পরিত্যক্ত সময় পুষিয়ে নেওয়ার বদলে দলটি দিন শুরু করেই আরও চাপে পড়ে।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ক্রিজে ছিলেন আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার সাদমান ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন দীপু। অত্যন্ত রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে তারা খেলা শুরু করলেও রান তোলার গতি ছিল অত্যন্ত ধীর। প্রথম ৮ ওভারে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ১৪ রান।

সাবধানী শুরু করলেও দীপু থিতু হতে পারেননি। শামার জোসেফের এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ২২ রানে। এরপর থেকেই উইকেট পতনের মিছিল শুরু হয়।

দীপু ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে এসে লিটন দাস মাত্র ৬ বল খেলে জেইডন সেইলসের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। তার ব্যাট থেকে কোনো রান আসেনি।

অন্যদিকে নতুন ব্যাটার জাকের আলী অনিকও ছিলেন অস্বস্তিতে। সেইলসের বাড়তি বাউন্সের বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত করে কাঁধে। সেখান থেকে উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভার হাতে ধরা পড়েন জাকের। তার সংগ্রহ ১০ বলে মাত্র ১ রান।

দলের এই বিপর্যয়ের মাঝে একমাত্র লড়াই চালিয়ে যান সাদমান ইসলাম। রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেও নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। তবে তার ইনিংসটিও স্থায়ী হয়নি। শামার জোসেফের বাইরের দিকে সুইং করা একটি বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাদমান। তার সংগ্রহ ৫১ রান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১০০ রান। ক্রিজে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ব্যাটিং লাইনআপে বাকি কেবল বোলাররা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা পুরো সকালের সেশনেই ছিলেন দুর্দান্ত। জেইডন সেইলস ও শামার জোসেফ বল হাতে তুলে নেন ২টি করে উইকেট। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পুরো বাংলাদেশ দলই চাপে পড়ে।

বাংলাদেশের বাকি ব্যাটারদের জন্য ম্যাচে প্রতিরোধ গড়া এখন একমাত্র পথ। মেহেদী মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ওপর নির্ভর করছে স্কোরবোর্ডে লড়াইয়ের মতো রান যোগ করার আশা। অন্যথায় এই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চলে যাবে স্বাগতিকদের হাতে।

এমন টেস্ট ম্যাচে টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশকে এখন প্রয়োজন মিরাজ-তাইজুলের দারুণ জুটি। তা না হলে আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্প নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হবে টাইগারদের।