সদ্য সংবাদ
চুলকানি থেকে মুক্তির সহজ ঘরোয়া উপায়

ত্বকে চুলকানি? এটি এমন একটি সমস্যা যা আমাদের জীবনে খুবই সাধারণ হলেও কখনো কখনো বেশ অসহনীয় হয়ে ওঠে। ত্বকের চুলকানির কারণ হতে পারে শুষ্ক ত্বক, অ্যালার্জি, মশার কামড় বা বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ। অনেকেই চুলকানি কমানোর জন্য রাসায়নিক মলম বা ওষুধ ব্যবহার করেন, যা অনেক সময় ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তবে প্রকৃতির কিছু উপাদান ব্যবহার করেই সহজেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে নিচে কয়েকটি ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায়ের কথা তুলে ধরা হলো, যা ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর।
১. লেবুর রস
লেবুর রসে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য, যা চুলকানি কমাতে কার্যকর। এটি ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধেও সহায়তা করে। ব্যবহার পদ্ধতি খুবই সহজ—লেবুর রস চুলকানির স্থানে সরাসরি লাগিয়ে শুকাতে দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বকের জ্বালা কমে যাবে।
২. তুলসী পাতার নির্যাস
তুলসী পাতা প্রাকৃতিক অ্যানেসথেটিক উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি ত্বকের চুলকানি প্রশমিত করতে অসাধারণ। এক মগ গরম পানিতে ১৫-২০টি তাজা তুলসী পাতা দিয়ে জ্বাল দিন। নির্যাস তৈরি হলে এটি ঠান্ডা করুন। একটি পরিষ্কার কাপড়ে নির্যাসটি ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। ত্বকের আরাম দ্রুত ফিরে আসবে।
৩. পুদিনা পাতার ঠান্ডা স্পর্শ
পুদিনা পাতা চুলকানি কমাতে দারুণ কার্যকর, কারণ এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যানেসথেটিক উপাদান রয়েছে। ফুটন্ত পানিতে পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি করুন নির্যাস। এটি ঠান্ডা হলে আক্রান্ত ত্বকে লাগান। এটি ত্বককে শীতল রাখবে এবং চুলকানি দূর করবে।
৪. অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক যত্ন
অ্যালোভেরা একটি বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর। চুলকানির স্থানগুলোতে তাজা অ্যালোভেরা জেল সরাসরি লাগান। এটি ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে তাৎক্ষণিক আরাম দেবে।
৫. বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চুলকানির জায়গায় এটি লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের অস্বস্তি অনেকটাই কমে যাবে।
চুলকানির কারণ বুঝুন
শুষ্ক ত্বক: পর্যাপ্ত পানি পান ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
অ্যালার্জি: অ্যালার্জিজনিত পণ্য বা খাবার এড়িয়ে চলুন।
সংক্রমণ: যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সতর্কতা
যদি চুলকানি একটানা থাকে বা তীব্র আকার ধারণ করে, তবে ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ এটি অন্য কোনো ত্বকজনিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
তবে সাধারণ চুলকানির ক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ সমাধান হিসেবে কাজ করবে। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিন এবং চুলকানির ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকুন।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য