সদ্য সংবাদ
এইমাত্র পাওয়া : চট্টগ্রামে আইনজীবী হ*ত্যার, ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল

চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষে নিহত সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে ছয়জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপি সূত্র জানায়, মঙ্গলবারের (২৬ নভেম্বর) সংঘর্ষের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ (বুধবার) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে আরও জানানো হয়, ঘটনার পর পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরও ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ (ককটেল) রাখার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকেও গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবারের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর বুধবার সকালে নিহত সাইফুল ইসলামের দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজা সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকর্মী আইনজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এর ঘণ্টা দেড়েক পর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজায় সাধারণ মানুষের ঢল নামে। বিকেলে তার গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ায় আরেকটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার জানিয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে ঢাকায় আইনজীবীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে আইনজীবীরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা ইসকনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
সাইফুল ইসলামের জানাজায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন। তারা এই হত্যাকাণ্ডকে আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "এটি শুধু একজন আইনজীবীর মৃত্যু নয়, এটি ন্যায়বিচারের প্রতি সরাসরি হুমকি।"
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষেই নির্মমভাবে নিহত হন সাইফুল ইসলাম।
আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মতো মেধাবী এক পেশাদার ব্যক্তিত্বের এমন মৃত্যু আইনের শাসনের প্রতি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে, এবং ভিডিও ফুটেজের সাহায্যে দোষীদের শনাক্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় আইনজীবী মহলসহ সাধারণ মানুষের মাঝে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- শিয়ারা কি মুসলমান নয়! কী বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ