ঢাকা, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২

হাসান

রিপোর্টার

বাংলাদেশকে না বলল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য-সুইজারল্যান্ড-জানুন কারণ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ০০:২৫:০৬
বাংলাদেশকে না বলল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য-সুইজারল্যান্ড-জানুন কারণ

হাসান: বিগত ১৬ বছরে দেশ থেকে লুণ্ঠন হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার যে স্বপ্ন অন্তর্বর্তী সরকার দেখছিল, তা এখন বড় ধরনের আইনি বাধার মুখে পড়েছে। পাচার হওয়া কালো টাকার উৎস খুঁজতে ও সম্পদ জব্দ করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনগত সহায়তা চাইলেও প্রভাবশালী তিন রাষ্ট্র—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড আপাতত সরাসরি চুক্তিতে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দেশগুলোর এমন অনীহা পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারের পুরো প্রক্রিয়াকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

চুক্তিতে অনীহা ও দীর্ঘসূত্রতার শঙ্কাঅর্থপাচার মামলার তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহের পথ সহজ করতে বাংলাদেশ এসব দেশের সাথে 'পারস্পরিক আইনগত সহায়তা' (MLA) চুক্তি করতে চেয়েছিল। কিন্তু এই তিন প্রভাবশালী দেশ সরাসরি চুক্তিতে না গিয়ে বিকল্প ও প্রচলিত আইনি পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিকল্প পথটি অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ, যা পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের কাজকে কয়েক বছর পিছিয়ে দিতে পারে।

পাচার হওয়া অর্থের পাহাড় ও দুবাই-লন্ডন কানেকশনসাম্প্রতিক সরকারি শ্বেতপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের শত শত বিলাসবহুল সম্পদ রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যে সাবেক মন্ত্রীদের নামে শতাধিক প্রোপার্টির সন্ধান পাওয়া গেছে, যার বেশ কিছু সম্পত্তি ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সংস্থা এনসিএ (NCA) জব্দ করেছে।

১৯ দেশে দুদকের চিঠি: কার অবস্থান কী?পাচার হওয়া সম্পদের খোঁজে ১৯টি দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কিং কমিটি।

ইতিবাচক সাড়া: সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও হংকং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

নীরবতা: কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো এখনো নীরব ভূমিকা পালন করছে।

উচ্চপর্যায়ের তৎপরতা ও টিআইবি’র উদ্বেগলন্ডন সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে জোরালো সহায়তা চেয়েছিলেন। তাঁর সাথে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও দুদক চেয়ারম্যান। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো চূড়ান্ত সবুজ সংকেত মেলেনি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনে করছে, আইনি চুক্তিতে এই অনীহা অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করার একটি কৌশল হতে পারে।

দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে পাচার হওয়া এই বিশাল অর্থ ফিরিয়ে আনা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। চুক্তি না হলেও বিকল্প পথে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়াই এখন একমাত্র ভরসা।

ট্যাগ: পাচার হওয়া টাকা ফেরত বিদেশের কালো টাকা উদ্ধার ড. ইউনূসের লন্ডন সফর খবর অর্থ পাচার শ্বেতপত্র ২০২৫ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অনীহা সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের টাকা দুবাইয়ে বাংলাদেশি সম্পদ সাবেক মন্ত্রীদের সম্পদ জব্দ দুর্নীতি দমন কমিশন নিউজ বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আপডেট টিআইবি রিপোর্ট পাচার পাচার করা অর্থ ফেরানোর চ্যালেঞ্জ মানি লন্ডারিং মামলা আপডেট অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনীতি পুনরুদ্ধার বাংলাদেশ Money Laundering Bangladesh 2025 Recovering Stolen Asset Dr. Yunus London Visit News US UK Switzerland Reject MLA Money Laundered from Bangladesh Dubai Property Laundering Former Ministers Asset UK ACC Mutual Legal Assistance White Paper on Economy BD Money Laundering Statistics 2025 TIB on Money Recovery Asset Recovery Challenges Bangladesh Financial News Recovering Siphoned Money International Legal Cooperation BD

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ