সদ্য সংবাদ
গোটা চলচিত্র মহলে শোকের ছায়া, সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী

একুশে পদকপ্রাপ্ত মাসুদ আলী খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গোটা চলচিত্র মহলে শোকের ছায়া, সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী মাসুদ আলী খান। তার চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছে না। মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র—তিন মাধ্যমেই তার অভিনয়ের দক্ষতা ও বৈচিত্র্যময়তা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। নাটক এবং সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে তার অভিনয়ের অনন্য কৌশল তাকে পরিচিত করেছে ব্যতিক্রমী এক অভিনেতা হিসেবে।
অভিনয় জগতের প্রথমে তিনি স্টেজশো করলেও, টেলিভিশন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরপরই নূরুল মোমেনের ‘ভাই ভাই সবাই’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর তিনি সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ সিনেমায় অভিনয় করে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। অভিনয় জগতের দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে, তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চে প্রায় ৫০০ নাটকে অভিনয় করেছেন এবং প্রতিটি চরিত্রে নিজস্ব ভঙ্গিতে অভিনয়ের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মাসুদ আলী খান।
আস্তে আস্তে তার যখন বয়স বেশি হয়ে যাচ্ছিল তখন অভিনয় জগত থেকে সরে আসেন আর তার বাকি টা লাইফ নিজ বাসায় কাটান। অসুস্থ অবস্থায় বেশ কয়েকবার হাসপাতালে নেওয়া হলেও বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে অবশেষে তাকে আর সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য মাসুদ আলী খানের মৃত্যু একটি বিরাট শূন্যতা তৈরি করেছে, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তার অভাব কোন কিছু দিয়ে পুরণ করা সম্ভব না।
মাসুদ আলী খান অভিনীত কয়েকটি সিনেমা-‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।