সদ্য সংবাদ
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রফিকুল ইসলাম মাদানী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আবারও রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় হয়েছে। দলটির নিবন্ধন না থাকলেও, দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে তারা এগিয়ে যাচ্ছে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে। নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে পরিচিত ইসলামী বক্তাদের প্রার্থী করা হচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসনে।
সম্প্রতি কুষ্টিয়ার একটি আসনে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতা অধ্যাপক ফরহাদ হোসাইনকে বাদ দিয়ে আলোচিত বক্তা মুফতি আমির হামজাকে প্রার্থী করায় দলের কৌশল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, জামায়াতের এ ধারাবাহিকতায় আরও কিছু আসনে জনপ্রিয় আলেমদের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। নেত্রকোনার একটি আসন, বিশেষ করে নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) থেকে তাকে প্রার্থী করার বিষয়টি এখন তীব্রভাবে আলোচিত হচ্ছে। কারণ, মাদানীর জন্ম ও শৈশব এই এলাকাতেই। ফলে স্থানীয় জনভিত্তি ও তার পরিচিতি—দুই মিলিয়ে তাকে একটি সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে এই আসনে জামায়াত আগেই মনোনয়ন দিয়েছিল অধ্যাপক মাসুম মোস্তফাকে, যিনি জেলা পর্যায়ের সহকারী সেক্রেটারি এবং পূর্বধলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। এমন পরিস্থিতিতে দল যদি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে, তাহলে রফিকুল ইসলাম মাদানী হতে পারেন আলোচনার কেন্দ্রে থাকা নতুন চমক।
রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামায়াতপ্রীতি নতুন নয়। বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যে দলটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে। গত মাসে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমি কারাগারে থাকাকালে জামায়াতই ছিল আমার ও আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় সহায়। শুধু আমার নয়, অনেক নিপীড়িত আলেমের খোঁজ তারা রেখেছে। আমি নিজে আমিরে জামায়াতের কাছ থেকে হাদিয়া পেয়েছি, যা তাদের ভালোবাসার প্রতীক।”তিনি আরও বলেন, “যারা ২৪-এর বিপ্লব বুঝে, তারা জানে ছাত্রশিবিরের ত্যাগ কতটা মূল্যবান। জামায়াত এই জাতিকে কায়েমী নেতৃত্বের সাহসী প্রতীক উপহার দিয়েছে।”
২০১২ সাল থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানী একজন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি সরকারবিরোধী অবস্থানের কারণে দমন-পীড়নের শিকার হন বলেও দাবি রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেত্রকোনা-৫ আসনে মাদানীর প্রার্থী হওয়া জামায়াতের জন্য একটি কৌশলগত চাল হতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা ও জামায়াতের সংগঠনিক শক্তির সমন্বয়—দলটিকে এ আসনে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।
রফিকুল ইসলাম মাদানীর মনোনয়ন যদি চূড়ান্ত হয়, তা শুধু জামায়াত নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও একটি তাৎপর্যপূর্ণ আলোড়ন তুলতে পারে।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- বিএনপির দুইটি বিষয়ে সম্মতি মিললেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- দেশের বাজারে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- পাসপোর্ট মিলবে না এই তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- বাংলাদেশে বৃষ্টির আমেজ: দীর্ঘ তাপপ্রবাহ শেষে স্বস্তির বার্তা
- বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ সব ভাতা বাড়ছে
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য
- কালো জাদু: বাস্তব নাকি ভ্রম!
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা