ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ওবায়দুল কাদের গ্রেপ্তারের গুজব: আসল ঘটনা কী

২০২৫ জুন ০৩ ২০:৫৩:৩৪
ওবায়দুল কাদের গ্রেপ্তারের গুজব: আসল ঘটনা কী

নিজস্ব প্রতিবেদন: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ কপালে তোলার মতো একটি "ব্রেকিং নিউজ" ভাইরাল হয়েছে—“ওবায়দুল কাদের গুলশান থেকে গ্রেপ্তার!” কেউ হতবাক, কেউ ক্ষুব্ধ, আর কেউ আবার বিনা যাচাইতেই বিশ্বাস করে শেয়ার করতে শুরু করেছেন। কিন্তু খবরটা আসলে কতটা সত্য?

উত্তর—একেবারেই মিথ্যা। ভিত্তিহীন গুজব।

তথ্য যাচাইকারী প্ল্যাটফর্ম ‘রিউমর স্ক্যানার’ নিশ্চিত করেছে, এই ভুয়া খবরটি ছড়িয়েছে একটি অজানা ও অবিশ্বস্ত ওয়েবসাইট ‘প্রিয়বাংলা২৪’। সাইটটির একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ৩১ মে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আসাদুজ্জামান হিরু নামের এক ব্যক্তি, যিনি নাকি ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত সন্তান’। অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি বাড্ডার একটি হত্যা মামলার আসামি এবং কাদের সাহেবের নাম ব্যবহার করে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

তবে বাস্তবে এই গল্পের কোনো প্রমাণ নেই।না আছে পুলিশের কোনো ঘোষণা, না কোনো সরকারি সংস্থার বক্তব্য।কোনো জাতীয় টেলিভিশন, সংবাদপত্র বা নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হয়নি।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অভিযোগের কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তি, তাঁর গ্রেপ্তার, এমনকি তাঁর অস্তিত্ব সম্পর্কেও কোনো তথ্য নেই। নেই কোনো ছবি, ভিডিও, গ্রেপ্তারের সময়-তারিখ বা স্থান সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট বিবরণ।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো—ডিজিটাল যুগে গুজব যেভাবে ছড়ায়, তেমন বিভ্রান্তি তৈরিও করে মুহূর্তেই। "ভাইরাল" শব্দটা অনেক সময় বাস্তবতার গণ্ডি মুছে দেয়। অথচ একটু খুঁজলেই ধরা পড়ে—পুরো ঘটনাটি বানানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তথ্যশূন্য।

তাহলে সত্যিটা কী?ওবায়দুল কাদেরকে কেউ গ্রেপ্তার করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগও নেই। পুরো ঘটনাটি একটি মিথ্যা প্রচারণা, যা হয়তো রাজনৈতিক স্বার্থে বা শুধুই ক্লিকবেইটের আশায় ছড়ানো হয়েছে।

এই ঘটনার সবচেয়ে বড় শিক্ষা—যাচাই ছাড়া কোনো কিছুই বিশ্বাস করা ঠিক নয়।শুধু খবর নয়, গুজব ছড়ানো রোধেও আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে।

–সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ