সদ্য সংবাদ
২০২৫-২৬ বাজেট: সাধারণ মানুষ কী পেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে এক ব্যতিক্রমী অধ্যায় রচনা করেছে। এবার বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় কম। তবে, এই বাজেট শুধু টাকার অঙ্কে নয়, উপস্থাপনাতেও এক নতুন মাত্রা এনেছে।
এবারের বাজেট ঘোষণা হয়েছে সংসদ ছাড়াই। সংসদ ভেঙে যাওয়ায় বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে টেলিভিশনের মাধ্যমে, বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাউদ্দিন আহমেদ। অর্থমন্ত্রী কিংবা সংসদে বাজেট বক্তৃতার প্রচলিত চিত্র এবার আর দেখা যায়নি। ১৬ বছর পর আবারো সংসদের বাইরে বাজেট ঘোষণার নজির দেখা গেল, যা আগে দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নির্ভরতা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। যদিও বাস্তবতা এবং প্রতিশ্রুতির মধ্যে ব্যবধান থাকতেই পারে, তবুও বাজেটে মানবিক মূল্যবোধ, জীবিকার নিরাপত্তা ও বৈষম্যহীন সমাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
উন্নয়ন খাতে ব্যয় কমিয়ে আনা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। চমকপ্রদ কোনো মেগা প্রকল্প নেই এবার। পরিবর্তে গুরুত্ব পেয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও নাগরিক সেবা—এই চারটি মৌলিক খাত। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি থাকছে, তবে দাম আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কর্মসূচির সংখ্যা কিছুটা কমানো হলেও, সুবিধাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে জুলাই বিপ্লবের শহিদদের পরিবারকে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নেওয়া হয়েছে কিছু বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ—নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি খরচ কমানো, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর ব্যবস্থায় এসেছে কিছু পরিবর্তন। করহার কিছুটা বাড়ানো হলেও করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শিল্প খাতে কর অবকাশ সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ বছর কালো টাকা সাদা করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। ভ্যাট ব্যবস্থায় একটি সমন্বিত কাঠামোর কথা ভাবা হচ্ছে।
ব্যাংক খাত ও অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। দেশ ও বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সংসদ না থাকায় এই বাজেট রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাশ হবে। ড. সালাউদ্দিন আহমেদের ভাষায়, এটি বাস্তবমুখী এবং সময়োপযোগী একটি বাজেট। তবে মূল প্রশ্ন এখন—এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর ও জনবান্ধব হবে?
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য