সদ্য সংবাদ
১৩ শ্রেণীর মানুষ আছে, যাদের কোন আমল ইবাদত কবুলই হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইবাদত তখনই মূল্যবান হয়, যখন তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। কিন্তু হাদীসের আলোকে এমন ১৩ শ্রেণির মানুষ রয়েছেন, যাদের কোনো ইবাদতই আল্লাহ কবুল করেন না, যদি না তারা তওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসে। মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি একটি গভীর চিন্তার বিষয় এবং আত্মশুদ্ধির সুযোগ।
চলুন দেখে নিই সেই ১৩ ধরনের মানুষ কারা:
১. শিরককারী ব্যক্তি:যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণের পর আবার শিরকে জড়িয়ে পড়ে, তার সব আমল বাতিল হয়ে যায়—যতক্ষণ না সে খাঁটি তওবা করে ইসলামে ফিরে আসে।
২. অপবিত্র অবস্থায় নামাজ আদায়কারী:ওজু বা গোসল ছাড়া নামাজ পড়া শুদ্ধ নয়। পবিত্রতা ছাড়া সালাত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
৩. হারাম উপার্জনের মাধ্যমে দানকারী:যে ব্যক্তি অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দান করে, তার সেই দান কবুল হয় না।
৪. মাথা না ঢেকে নামাজ আদায়কারী নারী:শরিয়ত অনুযায়ী পর্দা রক্ষা না করে নামাজ আদায় করলে, নারীর সেই নামাজ গ্রহণযোগ্য হয় না।
৫. সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যাওয়া নারী:যে নারী সুগন্ধি মেখে মসজিদে যান, তার ইবাদত কবুল হয় না—হাদীসে এটি স্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
৬. অযোগ্য ইমাম, যাকে মুসল্লিরা ন্যায্য কারণে অপছন্দ করে:যদি জামাতের মুসল্লিরা কোনো ইমামের চরিত্র বা বিশ্বাস নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকে, তবে তার ইমামতিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
৭. স্ত্রী, যার স্বামী ন্যায্য কারণে অসন্তুষ্ট:স্বামীর প্রতি অন্যায় আচরণ করে যে স্ত্রী রাত কাটায়, তার কোনো ইবাদত কবুল হয় না।
৮. পালিয়ে যাওয়া ক্রীতদাস:যে দাস তার মালিকের অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়, তার ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয় যতক্ষণ না সে ফিরে আসে।
৯. মদিনা শরীফে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী:যে ব্যক্তি মদীনার পবিত্র ভূমিতে ফেতনা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তার কোনো নেক আমল আল্লাহ কবুল করেন না।
১০. অভদ্র ও অবাধ্য সন্তান:যে সন্তান তার মা-বাবার আদেশ অমান্য করে ও তাদের কষ্ট দেয়, তার ইবাদত গ্রহণযোগ্য নয়।
১১. দান করে খোঁটা দেওয়া ব্যক্তি:যিনি দান করে বারবার সেই দানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন বা অপমান করেন, তার দান আল্লাহ কবুল করেন না।
১২. তাকদির অস্বীকারকারী:যে ব্যক্তি আল্লাহ নির্ধারিত ভাগ্যে বিশ্বাস রাখে না, তার ঈমান এবং আমল উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
১৩. যালিম ও স্বেচ্ছাচারী শাসক:যিনি আল্লাহর বিধান উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছামতো বিচার করেন, তার সালাত পর্যন্ত কবুল হয় না।
রাসুল (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম আমাদের এসব বিষয় সম্পর্কে পূর্বেই সতর্ক করেছেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত—নিয়ত বিশুদ্ধ রাখা, গোনাহ থেকে বিরত থাকা এবং শরিয়তের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা, যেন আমাদের আমল আল্লাহর কাছে কবুল হয়।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- বিএনপির মনোনয়ন পেতে তিনটি প্রধান যোগ্যতা অপরিহার্য