ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাল সময়, ড. ইউনূসের পদত্যাগ ও নতুন সরকারের সম্ভাবনা

২০২৫ মে ২৩ ১৬:৪২:২৭
বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাল সময়, ড. ইউনূসের পদত্যাগ ও নতুন সরকারের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের রাজনীতিতে আবারও তৈরি হয়েছে টানটান উত্তেজনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। একইসঙ্গে সামনে এসেছে নতুন একটি সরকার গঠনের গুঞ্জন। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—ড. ইউনূস কি সত্যিই সরে দাঁড়াচ্ছেন? এবং, আদৌ কি গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন কোনো সরকার?

গত জুলাইয়ে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর দেশজুড়ে রাজনীতির চিত্র আমূল বদলে যায়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ক্ষমতা ছাড়ে আওয়ামী লীগ সরকার। সেই শূন্যতা পূরণে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় একটি অন্তর্বর্তী সরকার, যারা সুষ্ঠু নির্বাচন ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রায় ১০ মাস হতে চলল তাদের দায়িত্ব পালন। এই সময়েই বারবার আন্দোলন ও চাপের মুখে পড়েছে সরকার।

রাজধানীর রাজপথ যেন প্রতিদিনই নতুন দাবিতে মুখর। বিশেষ করে ‘যমুনামুখে’ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে নিয়মিতই হচ্ছে লং মার্চ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ।

ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলগুলোর মধ্যেও এখন দেখা দিচ্ছে মতভেদ। আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই দলগুলোতেই জন্ম নিচ্ছে বিভাজন। এরই মাঝে উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে ড. ইউনূস স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “যদি কাজ করতেই না পারি, তাহলে থেকে লাভ কী?”—এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়, তিনি আর দায়িত্ব পালনে আগ্রহী নন।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ড. ইউনূস স্পষ্ট করেন, তিনি পদত্যাগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন।

বৈঠক শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “ড. ইউনূস সত্যিই পদত্যাগ নিয়ে ভাবছেন, তবে আমরা তাকে দায়িত্বে থাকার অনুরোধ জানিয়েছি।”

সূত্র আরও জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, প্রতিদিনকার সড়ক অবরোধ ও প্রশাসনের অসহযোগিতা সরকারের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ফলে সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেও ব্যর্থ হচ্ছে।

প্রথম আলো'র একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, ক্ষুব্ধ ড. ইউনূস এমনকি একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই রাজনৈতিক পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন কঠিন হয়ে পড়বে। ব্যালট ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে, যা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

তার মন্তব্য—“ভালো নির্বাচন না হলে জনগণ আমাকেই দায়ী করবে।”

এই মুহূর্তে জাতির সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—ড. মুহাম্মদ ইউনূস কি সত্যিই পদত্যাগ করবেন? আর যদি করেন, তবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে?

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

জরুরী ভাবে তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা

জরুরী ভাবে তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা

সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এর মধ্যেই কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। তাদের তথ্যমতে,... বিস্তারিত