সদ্য সংবাদ
ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ: কেন এতো বড় সামরিক বাজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে গভীর রাত। নীরব এক কক্ষে ছড়িয়ে আছে মানচিত্র, গোয়েন্দা রিপোর্ট আর সামরিক কৌশলের নথি। ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন এক অভিজ্ঞ জেনারেল, চোখে অনাড়ম্বর কিন্তু দৃঢ়তা ভরা দৃষ্টি। তার সামনে রাখা বাজেট পরিকল্পনা শুধুই সংখ্যার খেলা নয়—এটি একটি আত্মবিশ্বাসী জাতির কণ্ঠস্বর।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রতিরক্ষা বাজেট এবার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। গতবার যেখানে ছিল ৪২ হাজার কোটি টাকা, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটিতে। এই বরাদ্দ কেবল সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তায় আত্মনির্ভর হওয়ার স্পষ্ট বার্তা।
ত্রিশক্তির পুনর্জাগরণ
সেনা, নৌ ও বিমান—তিন বাহিনীই দীর্ঘদিন বাজেট সংকটে ছিল। ব্যয় বরাদ্দের সিংহভাগই যেত বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানিতে। আধুনিক অস্ত্র কেনার জন্য হাতে থাকত সীমিত পরিমাণ অর্থ। এবার সেই চিত্র বদলেছে। সরকার মধ্যস্থতাকারী বাদ দিয়ে সরাসরি প্রস্তুতকারক রাষ্ট্র বা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছে। বিদেশি বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের পথকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
আকাশের দখলে নতুন অধ্যায়
বিমানবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই আধুনিক ফাইটার জেটের ঘাটতিতে ভুগছিল। এবার তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিমানবাহিনীর জন্য। চীনের J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট এই পরিকল্পনার কেন্দ্রে। সঙ্গে উন্নত রাডার, পাইলট প্রশিক্ষণ এবং গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইউনিট গঠনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
এই জেটগুলো ভারতের রাফাল ও পাকিস্তানের JF-17 এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। এছাড়া রাশিয়া ও সাইপ্রাস থেকে লং-রেঞ্জ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সংগ্রহের আলোচনাও চলছে।
সমুদ্রের অতল থেকে আধুনিকতার পথে
নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ব্যবহৃত দুটি পুরনো সাবমেরিনের বাইরে এবার বাজেটে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারে ছয়টি আধুনিক ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন কেনা হচ্ছে, যার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজাইন এগিয়ে। নতুন ফ্রিগেট, করভেট, পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে বহরে। ইতালির ফিনকান্তিয়েরি এবং তুরস্কের এফটিসি’র সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে।
ভূখণ্ডে আধুনিক যুদ্ধের প্রস্তুতি
সেনাবাহিনীতে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে তুরস্কের TRG-300 রকেট লঞ্চার ও MK-1 হাউইটজার। নতুন বাজেটে যুক্ত হচ্ছে আরও আধুনিক যুদ্ধসামগ্রী—নোরা আর্টিলারি, টাইগার মিসাইল, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল, হেলিকপ্টার ও ট্যাংক। তুরস্কের আলতাই ও ইন্দোনেশিয়ার হারিমাও ট্যাংক কেনার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
প্রশিক্ষণ ও উৎপাদনে স্বনির্ভরতা
সাবমেরিন ও ফাইটার পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, আজারবাইজান ও তুরস্কে। দেশের ভেতরেই টাঙ্গাইল ও নরসিংদীতে ড্রোন ও হালকা অস্ত্র উৎপাদনের কারখানা স্থাপন হচ্ছে। তুরস্কের Baykar ও Roketsan কোম্পানি প্রযুক্তি হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ শুধু নিজের চাহিদা পূরণ করেই থামবে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় অস্ত্র রপ্তানির দিকেও এগিয়ে যাবে।
এ বাজেট কেবল প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা নয়, একটি রাজনৈতিক বার্তা
আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির টানাপোড়েনে বাংলাদেশ এবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল—তারা আর নির্ভরশীল থাকতে চায় না। এই বাজেট আগ্রাসনের জন্য নয়, বরং আত্মরক্ষার জন্য। তবে কেউ চোখ রাঙালে, বাংলাদেশ চোখে চোখ রাখতে প্রস্তুত।
দুই দৃশ্য, দুই বাস্তবতা
দিল্লিতে যখন দুশ্চিন্তার মেঘ, ঢাকায় তখন আত্মবিশ্বাসের আলো। ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে লেখা—বাংলাদেশ: দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান সামরিক শক্তি।আর ঢাকায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাখা এক নথির শিরোনাম—২০২৫-২৬ প্রতিরক্ষা বাজেট: আত্মনির্ভর বাংলাদেশের রূপরেখা।
এই বাংলাদেশ মাথা নিচু করে চলে না। সে এখন চোখ তুলে তাকায়—প্রয়োজনে চোখ উপড়েও ফেলতে পারে।
শেষে লেখা ছিল, শুধু বাজেট নয়, এ এক সাহসী জাতির ঘোষণা।
— আশা/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- শিয়ারা কি মুসলমান নয়! কী বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ