চট্টগ্রাম-আরাকান মানবিক করিডরের নামে বিশাল পশ্চিমাদের ফাঁদে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। জাতিসংঘের “মানবিক করিডর” শিরোনামে চট্টগ্রাম থেকে আরাকান পর্যন্ত একটি করিডর খোলা হতে যাচ্ছে — যেটি আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি নতুন ভূ-রাজনৈতিক খেলার সূচনা।

মানবিক করিডর কি শুধুই সাহায্যের রাস্তা

না। বাস্তবে, ইতিহাস বলছে ভিন্ন কথা।

সিরিয়া: মানবিক ত্রাণের নামে ঢুকেছিল অস্ত্র ও ড্রোন, জন্ম নেয় আইএসআইএস

ইরাক: “No-fly zone” দিয়ে শুরু, পরে হয়ে যায় সামরিক দখল

লিবিয়া: করিডর দিয়ে NATO বোমা বর্ষণ, গাদ্দাফির পতন

গাজা: ত্রাণের গেট দিয়ে প্রবেশ মোসাদের, গোপন তথ্য পাচার

আফগানিস্তান: CIA করিডরের আড়ালে বেস, সেখান থেকেই ড্রোন হামলা

তাহলে বাংলাদেশে কী হচ্ছে?

এই করিডরের মাধ্যমে যদি—

এনজিও ছদ্মবেশে সামরিক ম্যাপিং শুরু হয়

নজরদারি ড্রোন আসা শুরু হয়

পরবর্তীতে “সেফ জোন” ঘোষণার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ চলে যায় UN বা অন্য কোনো বিদেশি শক্তির হাতে তবে সেটা আর মানবিকতা নয়, বরং এটি এক নতুন ধরণের আধিপত্যের সূচনা।

কারা খেলছে এই গেম?

১. যুক্তরাষ্ট্র

ভারত মহাসাগরে চীনের প্রবেশ ঠেকাতে চায়

মানবাধিকারের নামে গোয়েন্দা হাইওয়ে তৈরি করে

সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করে

২. ইসরায়েল

আরাকানকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার “স্পিরিচুয়াল গেট” ভাবে

গাজওয়াতুল হিন্দের সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসেবে নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়

৩. ভারত

কালাদান প্রজেক্টের ফাইনাল রুট এখানেই

উত্তর-পূর্ব বিদ্রোহ ঠেকাতে বাংলাদেশের ভেতরে সামরিক তৎপরতা চায়

৪. চীন ও রাশিয়া

চীনের বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প রয়েছে আরাকানে

রাশিয়া মিয়ানমারকে অস্ত্র দেয়, ফলে পশ্চিমাদের আগ্রাসন সহ্য করবে না

কেন আরাকান এত গুরুত্বপূর্ণ?

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রবেশদ্বার

বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত গেইট

মুসলিমদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আত্মপরিচয়ের প্রতীক

গাজওয়াতুল হিন্দের ভবিষ্যৎ সংঘাতের ফ্ল্যাঙ্কিং পয়েন্ট

“মানবিক সহায়তা”র মুখোশে আসলে কারা?

UN, WHO, WFP: তথ্য সংগ্রহ ও এলাকা পর্যবেক্ষণ

MSF, Save the Children: মাঠ পর্যায়ে ম্যাপিং

Blue Helmet Troops: UN-এর ছায়া সেনাবাহিনী

বাংলাদেশ কী পাবে?

কিছু বিদেশি অনুদান

নিজেদের ভূমিতে বিদেশি নজরদারির বেস

সীমান্তে ড্রোন রুট

ভবিষ্যতে একটি UN-ম্যানেজড “মুসলিম থিম পার্ক”

করণীয় কী?

জাতীয় সম্মতি ছাড়া কোনো করিডর মানা যাবে না—এই দাবি তোলা আলেম, স্টুডেন্ট ও অ্যাক্টিভিস্টদের এই বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা

“মানবিক সাহায্য”র নামে ছদ্ম আগ্রাসন রুখতে তথ্যভিত্তিক প্রচারণা

মুসলিম সমাজকে গাজওয়াতুল হিন্দ ও দক্ষিণ এশিয়ার ইসলামী ভূরাজনীতি বিষয়ে জানাতে হবে

আশা/