সদ্য সংবাদ
আরাকান আর্মির আক্রমণ ও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সঙ্কট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের হার নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাখাইন রাজ্যের আরাকান আর্মির একের পর এক ভয়াবহ আক্রমণের ফলে সেখানকার মানুষজন প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসছে। স্থানীয়দের দাবি, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সেনাদের তুলনায় আরও বেশি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করছে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে নতুন রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি বেড়েছে। বিজিবি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
কক্সবাজারের রুখিয়া বালুখালির পাঁচ নম্বর ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গা, মোহাম্মদ আলী, জানান যে, তিনি এপ্রিল মাসের শুরুতে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। আরাকান আর্মির দমন-পীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে অনেক রোহিঙ্গা তাদের জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। আলী বলেন, “আমরা এমন নির্যাতনের শিকার হচ্ছি, যা কল্পনাও করা যায় না—ভিটেমাটি জ্বালিয়ে দেওয়া, শিশুদের ওপর অমানবিক নির্যাতন, নারীদের ধর্ষণ, আমাদের সব কিছু ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
রোহিঙ্গাদের মতে, বিশেষ করে তরুণী এবং তরুণদের জিম্মি করে তাদের দাসদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হতে হচ্ছে।
এছাড়া, আরাকান আর্মি শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা সীমান্তে মাদক চোরাচালানেও জড়িত। মিয়ানমারের দিকে চোরাচালান চালিয়ে তারা মাদক ব্যবসায়ও হাত দিয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে তাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা প্রস্তুত। তবে, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকলে তাঁদের পুনর্বাসন খুবই কঠিন হয়ে উঠবে। এতে একদিকে মানবিক সংকটও আরও তীব্র হতে পারে।
বর্তমানে কক্সবাজারে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর পরিধি বাড়েনি, কিন্তু ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। বিশেষত, গত বছরের মে ও জুন মাসে রোহিঙ্গাদের প্রবাহ ছিল সবচেয়ে বেশি। শরণার্থী ক্যাম্পে জায়গার সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আশ্রয়ের স্থানও কমে যাচ্ছে।
স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতাদের দাবি, প্রতিদিন প্রায় ৫০০-র বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, যা সীমান্তে আরো চাপ সৃষ্টি করছে।
কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে, মিয়ানমারের সীমান্তে তাকালে এখনও স্পষ্ট দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের গ্রাম ও বাড়িঘর পুড়ছে। এই দৃশ্য প্রতিদিন চোখে পড়ছে। এছাড়া, আরাকান আর্মি বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। সীমান্তের এক প্রান্তে সংঘাত বাড়ছে এবং মাদক চোরাচালান নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনী কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ রোধে তাদের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করেছে। তবে, এই সংকটের সমাধান যতটা কঠিন, ততটাই গুরুত্বপূর্ন এবং মানবিক।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী