ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

হাসিনার শাসনের গোপন চিত্র উন্মোচন করলেন ভারতীয় সাংবাদিক

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২১ ১৫:২৩:৩৯
হাসিনার শাসনের গোপন চিত্র উন্মোচন করলেন ভারতীয় সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের এক জরাজীর্ণ পুরাতন বাড়ি, ভাঙা দেয়ালের ছায়ায় বসে স্মৃতিমগ্ন গাজী সাহেব বলছিলেন তার জীবনের গল্প। একসময় তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী—দলের পতাকা হাতে রাজপথ কাঁপিয়েছেন। কিন্তু আজ তার চোখে জল, কণ্ঠে হাহাকার। তিনি বলেন, "মেয়েটার (শেখ হাসিনা) জন্য আজ লজ্জিত হতে হয়।"* দেশের এই করুণ পরিণতি তাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে।

একটা সময় ছিল, যখন হাজারো মানুষের মতো গাজী সাহেবও স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশের। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। দুর্নীতি, সহিংসতা আর শাসনযন্ত্রের ব্যর্থতায় আজ তিনি ঘর থেকে বের হন না—তার জীবনে শুধুই হতাশা।

এ গল্প শুধু গাজী সাহেবের নয়—এটা সেই কোটি মানুষের আর্তনাদ, যারা একদিন এই দেশকে ভালোবেসে বড় কিছু আশা করেছিল।

এই বাস্তব চিত্রটি সামনে এনেছেন ভারতীয় সাংবাদিক সুচিন্তা পাল চৌধুরী। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশে এসে তিনি দেখেছিলেন শুধু উৎসব নয়—মানুষের চাহনিতে জমে থাকা হতাশা, ক্ষোভ আর আস্থাহীনতা।

তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শেখ হাসিনার শাসনামলের রাজনৈতিক অচলাবস্থা, প্রশাসনিক দুর্বলতা, আর উগ্র ধর্মীয় চেতনার উত্থান। শুধু বিরোধী দল নয়—অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও স্বীকার করেছেন, সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করা হয়েছে রাজনীতির ঢাল হিসেবে।

সুচিন্তা লিখেছেন, বহু হিন্দু মন্দির ধ্বংস হয়েছে—যার পেছনে হাত ছিল স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের। ধর্মকে ব্যবহার করে সমাজে ছড়ানো হয়েছে বিভাজন আর ঘৃণার বার্তা।

তবুও এই অন্ধকারে দেখা যাচ্ছে একটুকু আলো।

সুচিন্তার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এক নতুন নাম—ড. মুহাম্মদ ইউনুস। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ এখন অনেকের চোখে নতুন আশা ও নেতৃত্বের প্রতীক। তিনি বলছেন—সৎ নেতৃত্ব, ন্যায্য অর্থনীতি এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির মাধ্যমেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশ। "আমরা যদি একসাথে এগিয়ে যাই, কোনো বাধাই আমাদের রুখতে পারবে না,"—বলেছেন তিনি।

তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। নারীরা দেখছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। গ্রামের চায়ের দোকানে, শহরের ব্যস্ত রাস্তায় এখন নতুন আলোড়ন—আশার বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।

গাজী সাহেবের চোখে যে জল ছিল, আজ তা মুছে গেছে। এখন সেখানে আছে নতুন এক স্বপ্নের দীপ্তি। মানুষের মুখে মুখে একটাই আওয়াজ— "আমরা হারবো না—আমরাই গড়বো নতুন বাংলাদেশ!"

ড. ইউনুসের নেতৃত্বে দেশ এগোচ্ছে একটি নতুন ভোরের দিকে। পথটা সহজ নয়—আছে বাধা, আছে শঙ্কা। কিন্তু তার চেয়েও বড় হলো—আছে সাহস, আছে বিশ্বাস, আছে স্বপ্ন।

এটা শেষ নয়—এটাই নতুন বাংলাদেশের শুরু।

_সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত