ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

প্রথম আলোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

২০২৫ এপ্রিল ২০ ১৬:৩৩:১৮
প্রথম আলোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' সম্পর্কে স্পষ্ট ও প্রকাশ্য মন্তব্যের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি বিতর্কিত প্রতিবেদন ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।

প্রতিবেদনটিতে হাসনাতের কথিত ‘বিলাসী জীবনযাপন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, যা অনেকের কাছেই সময় ও উদ্দেশ্যের দিক থেকে সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। কারণ, এর মাত্র দুই দিন আগেই তিনি ফেসবুকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-কে ঘিরে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন।

প্রতিবেদনের জবাবে এক সরাসরি প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত বলেন, “প্রথম আলো বহুদিন ধরেই দেশপ্রেমিক ও সৎ নেতাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই টার্গেটে পরিণত হতে হয়—এখন সেই তালিকার নতুন নাম আমি।”

তিনি আরও বলেন, “এই প্রতিবেদন কোনো সাংবাদিকতার ফল নয়, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আঘাত, যার লক্ষ্য আমাকে চুপ করিয়ে দেওয়া। যদি কেউ ভেবে থাকে দিল্লি থেকে বানানো কন্টেন্ট দিয়ে আমার কণ্ঠ রোধ করবে—তাহলে তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে।”

নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের উদ্দেশে হাসনাত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “যদি সত্যিই মনে করেন আমি বিলাসবহুল জীবনযাপন করি—তাহলে সাহস থাকলে আমার বাসায় আসুন, নিজ চোখে দেখে যান।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যদি ঘুষ বা অনৈতিকভাবে এক টাকাও গ্রহণ করে থাকি এবং তা কেউ প্রমাণ করতে পারে—তবে আমি আজীবনের জন্য রাজনীতি ছাড়ব।”

হাসনাত দাবি করেন, তার সব ব্যাংক হিসাব, আয়কর রিটার্নসহ আর্থিক তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত। “চাইলেই যাচাই করা সম্ভব,”—বলেছেন তিনি।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৮ এপ্রিল এনসিপির একটি বৈঠকে হাসনাতের জীবনযাপন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে হাসনাত বলেন, “সেই বৈঠকে এ বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারিত হয়নি। তাহলে এত বড় একটি মিথ্যা কিভাবে ছাপা হয়?”

পুরো ঘটনার পেছনে কেউ কেউ ‘অদৃশ্য চাপ’ ও ‘পাওয়ার পলিটিক্স’-এর ইঙ্গিত দেখছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কি সত্য অনুসন্ধান, নাকি একটি সুপরিকল্পিত ‘প্রোপাগান্ডা অভিযান’—এই প্রশ্ন এখন সামাজিক মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।

প্রথম আলো ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিবেদনটির কিছু অংশ ‘আপডেট’ করেছে, যা অনেকের কাছে প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্য এবং প্রথম আলোর প্রতিবেদন—উভয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এখন একটি প্রশ্ন সামনে আসছে: **কারা সত্য তুলে ধরছে, আর কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গল্প বলছে?**

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ