ঢাকা, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতের প্রতিক্রিয়া

২০২৫ এপ্রিল ০৩ ০৯:৫৫:১২
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতের প্রতিক্রিয়া

ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য, যা 'সেভেন সিস্টার্স' নামে পরিচিত, সম্পূর্ণরূপে স্থলবেষ্টিত। এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র প্রবেশপথ বাংলাদেশ। সম্প্রতি চীন সফরে এই ভৌগোলিক বাস্তবতা উল্লেখ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই মন্তব্য ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

ড. ইউনূসের বক্তব্য

একটি ভিডিও ক্লিপে ড. ইউনূস বলেন, “ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য সমুদ্রের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত নয়। বাংলাদেশই তাদের সমুদ্রপথের প্রবেশদ্বার, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “এই এলাকায় চীনা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে, যা স্থানীয় উৎপাদন, বাজার সম্প্রসারণ এবং বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।”

ভারতের প্রতিক্রিয়া

ড. ইউনূসের এই মন্তব্যে ভারতের কিছু রাজনৈতিক নেতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বিনা সিক্রি বলেন, “ড. ইউনূসের এমন মন্তব্য করার অধিকার নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা ও চুক্তি রয়েছে, যা দুই দেশের স্বার্থ রক্ষা করে।”

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা বলেন, “বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর ও নিন্দনীয়। এটি ভারতের কৌশলগত দুর্বলতাকে প্রকাশ করছে।” তিনি আরও বলেন, “উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বিকল্প রেল ও সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া

ভারতের কংগ্রেস নেতা পবন খেরা প্রশ্ন তোলেন, “বাংলাদেশ কি ভারতকে অবরুদ্ধ করতে চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে?” তিনি দাবি করেন, ভারতের পররাষ্ট্রনীতি এতটাই দুর্বল যে, যে দেশটির স্বাধীনতার জন্য ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, সেই দেশই এখন ভারতকে কৌশলগতভাবে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত-চীন সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরেছে। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক ভারতকে উদ্বিগ্ন করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগকে ভারত তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।

ড. ইউনূসের বক্তব্য এবং এর বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি আগামী দিনে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা কঠিন। তবে এটি স্পষ্ট যে, দুই দেশের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যে নতুন পরিবর্তন আসতে পারে।

আমি প্রতিবেদনটি আরও বিস্তারিত ও সংগঠিতভাবে উপস্থাপন করেছি। যদি আপনি আরও কোনো সংযোজন বা পরিবর্তন চান, জানাতে পারেন!

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ে আবারও দেখা হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের—বাংলাদেশ ও ভারত। আগামী ১৮ মে ভারতের অরুণাচল... বিস্তারিত