সদ্য সংবাদ
আওয়ামী লীগ নেতারা কে কোথায় আছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ নেতারা কোথায় আছেন নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যখন আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে, তখন পালিয়ে থাকা দলটির শীর্ষ নেতাদের অবস্থানও ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। জনরোষ ও বিরোধী চাপের মুখে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন দেশে আত্মগোপন করেছেন।
নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা ছাড়া দেশে কার্যকর কোনো নেতৃত্ব দেখা যাচ্ছে না। জনরোষ এবং বিরোধী দলের চাপের কারণে বেশিরভাগ সিনিয়র নেতা এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যারা বিদেশে থেকে দল পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন, তাদের অনেকেই বিশ্লেষকদের মতে, দিন দিন হাস্যকর হয়ে উঠছেন।
আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে সভাপতি মণ্ডলীর ১৯ সদস্যের একজন, মতিয়া চৌধুরী, ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কাজী জাফরুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, শাহজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সুবহান গোলাপ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পাঁচটি দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন—ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই এবং কানাডা।
ভারত: ভারতে দুই থেকে তিন শতাধিক নেতা অবস্থান করছেন। অনেকেই অন্য দেশ থেকে ভারতে আসা-যাওয়া করছেন। জানা গেছে, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও সেখানে আছেন, তবে কাদেরের রাজনৈতিক অবস্থান এখন অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় কিছু শীর্ষ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অবস্থান করছেন, যেমন—জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।
যুক্তরাজ্য: এখানে রয়েছেন সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এবং সাবেক মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী লন্ডনে বিভিন্ন অনলাইন আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন এবং এক কর্মীসভায়ও যোগ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র: এখানে দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন নেতা রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তাদের নেতৃত্বে কিছু তৎপরতা চালাচ্ছেন।
কানাডা ও বেলজিয়াম: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ কানাডায় এবং হাসান মাহমুদ বেলজিয়ামে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেশে থাকা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা আপাতত রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সিনিয়র এবং হাইব্রিড নেতারা বিদেশে থেকেও নিরাপদ নন। বিদেশেও আওয়ামী বিরোধী প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশে তৎপর রয়েছেন, ফলে পালিয়ে থাকা নেতাদের গণধোলাইয়ের শঙ্কা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ এখন অত্যন্ত অনিশ্চিত এবং দলের নির্বাচনে ফেরার সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ।
সোহাগ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না