সদ্য সংবাদ
হাসিনাকে 'ফেরাতে' বাংলাদেশের চিঠি, 'ঠেকাতে' কতদূর যাবে ভারত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশ ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে, এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ভারত এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। ভারতের সরকার কীভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে রাজি হবে, কিংবা তারা কতদূর যাবে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় আড়াই মাস আগে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যাতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে ভারতকে আহ্বান জানানো হয়েছে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য। তবে, এখন পর্যন্ত ভারত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি থাকলেও, এক্সপ্রেডিশন ট্রিটি বা বহিঃসমর্পণ চুক্তির মাধ্যমে দু'দেশ একে অপরকে আসামি ফেরত পাঠাতে পারে। এই চুক্তির আওতায়, হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে। তবে, ২৩ ডিসেম্বর *হিন্দুস্থান টাইমস* জানিয়েছে যে, ভারত সরকার চিঠিটি পেয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক সাড়া দেয়নি।
এখানে উল্লেখযোগ্য, ভারত আগেও বাংলাদেশ থেকে কিছু ব্যক্তিকে ফেরত পাঠিয়েছে, যেমন ২০১৫ সালে উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া এবং নারায়ণগঞ্জের সাতখুন হত্যা মামলার আসামি নূর হোসেনকে। তবে, এখনকার পরিস্থিতি আলাদা, কারণ ভারতের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে— ভারত কি চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে?
বিবিসি বাংলার বিশ্লেষণী প্রতিবেদনের মতে, ভারত দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু শেখ হাসিনাকে বিপদে ফেলবে না। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, ভারত কখনও শেখ হাসিনাকে বিপদে ফেলবে না। তিনি আরও বলেন, ভারত কখনও রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীকে জোরপূর্বক তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর নীতি অনুসরণ করে না।
এছাড়া, পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর মতে, যদি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তবে ভারত সেই আবেদন খারিজ করতে পারে।
ভারত আসলে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক রাখতে নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন দেখা যায় যে, শেখ হাসিনাকে ভারতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ছাড়া শেখ হাসিনা আর কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পাচ্ছেন না, যা ভারতের সতর্কতার প্রকাশ। এটি তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে।
লন্ডনভিত্তিক লেখক এবং বাংলাদেশ গবেষক প্রিয়জিত দেব সরকার মনে করেন, শেখ হাসিনা যেহেতু জঙ্গিবাদীদের প্রধান লক্ষ্য, তাই ভারত তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপোস করবে না। সাত মাস ধরে শেখ হাসিনার সঠিক অবস্থান গোপন রাখা ভারতীয় কূটনীতির একটি বড় সফলতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রী রাধা দত্ত মন্তব্য করেছেন, ভারত পক্ষে শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসন করা সম্ভব নয়।
এখন প্রশ্ন হলো, ভারত কতদূর যাবে এবং এই কূটনৈতিক সংঘর্ষের পরিণতি কী হবে?
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- সহবাস শেষে বীর্য বাহিরে ফেললে কি গুনাহ হবে
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- আবারও কমে গেল সোনার দাম
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্নগুলো বারবার দেখে — কী বার্তা দেয় এই দৃশ্যগুলো
- তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো ইরান
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকট শব্দ হতে পারে, আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার পরামর্শ
- নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ!
- অবশেষে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ইতিবাচক বার্তা
- দু’দিনেই বড় পতন স্বর্ণের দামে, বিশ্ববাজারে ধস
- মৃত্যু ছেলের সাথে ১৫ বছর পর মায়ের দেখা
- ইরানের জন্য দুঃসংবাদ