ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধ ট্যাংক মহড়া: কী উদ্দেশ্য

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ মার্চ ০৪ ১২:৪০:০০
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধ ট্যাংক মহড়া: কী উদ্দেশ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোর্পস, যা মূলত সিককিম ও শিলিগুড়ি করিডরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত, সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সেখানে একটি বিশাল সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে অত্যাধুনিক যুদ্ধ ট্যাংক এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। এই হঠাৎ মহড়ার পেছনে ভারত কী উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে? বিস্তারিত জানাচ্ছেন ইশতিয়াক হোসেন।

সীমান্ত অঞ্চলে সামরিক মহড়া সাধারণত এক দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে একটি দেশ তার সামরিক সক্ষমতাকে পর্যালোচনা করে এবং যেকোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের মহড়া চলে, আর এবার ভারতও তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য সীমান্ত এলাকায় এক মাসব্যাপী ‘লাইট ফায়ার’ মহড়া পরিচালনা করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোর্পস, যা সিককিম ও শিলিগুড়ি করিডরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, এই মহড়ার মাধ্যমে তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি আরও জোরদার করেছে। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এই মহড়ায় অত্যাধুনিক টি৯০ ট্যাংকসহ নানা সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম *দ্য ইকোনমিক টাইমস* এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ প্রস্তুতি বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন অপারেশনাল পরিস্থিতিতে আর্মড যুদ্ধকৌশল পরীক্ষা করা।

এছাড়া, পাহাড়ি অঞ্চলে যুদ্ধ সক্ষমতা যাচাইয়ের পাশাপাশি আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতের টি৯০ ট্যাংকটি সেনাবাহিনীর সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধ ট্যাংক, যা উন্নত ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, গতিশীলতা এবং অগ্রগতি প্রযুক্তি নিয়ে সজ্জিত। এটি শত্রু বাহিনীর ট্যাংক অথবা আর্মড লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম এবং রাতের যুদ্ধে আরও কার্যকরী।

তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই সাম্প্রতিক মহড়া বাংলাদেশের জন্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ হতে পারে, তবে সরাসরি বাংলাদেশের জন্য কোনো বিপদ সৃষ্টি হবে না বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। তাদের মতে, এটি ভারতের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।

এটি ভারতের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি অংশ, এবং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই মুহূর্তে কোনো আশঙ্কার কারণ নেই।

ইশতিয়াক/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত