সদ্য সংবাদ
গোপনে গোপনে কি শেখ হাসিনাকেও তাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশে পলাতক, এবং তার ১৭ বছরের শাসন শেষ হয়ে গেছে ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের ফলে। দেশে ফিরে আসলে তাকে গ্রেফতার করা হবে, কারণ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটার পর, হাসিনার বিদায় ভারতের বিজেপির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লি এখন একটি অদৃশ্য চাপ অনুভব করছে, এবং সেখানে চলছে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এখন বাংলাদেশের দিকে নজর রেখে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে এবং তাদের লক্ষ্য এখন বাংলাদেশকে কাবু করা। তবে তাদের এই প্রচেষ্টা এখনো সফল হয়নি, এবং তারা নতুন একটি প্রচারণা শুরু করেছে— "বাংলাদেশী মুক্ত দিল্লি"। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই উদ্যোগ ঘোষণা করেছেন, যদিও তিনি সঠিকভাবে কতজন বাংলাদেশী অবৈধভাবে দিল্লিতে বসবাস করছে, সে বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি। তবুও, 'বাংলাদেশী খেদাও' মিশন শুরু হয়েছে।
তবে হাসিনা ও তার মতো দেশ থেকে পালিয়ে আসা নেতাদের ফিরিয়ে নিতে ভারত বিশেষভাবে আগ্রহী নয়। বরং, ভারতের মূল দৃষ্টি তাদের নিজ দেশের নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণে। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতারা দিল্লিতে আশ্রয় পেয়েছেন, কিন্তু ভারত তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য খুব বেশি আগ্রহী নয়।
অন্যদিকে, ভারতের অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, বিজেপি এবং অমিত শাহ এই ঘোষণা শুধুমাত্র রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করেন, বাংলাদেশ নিয়ে বিদ্বেষ বাড়িয়ে রাজনীতির মাঠে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চলছে, বিশেষত দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগ মুহূর্তে।
এদিকে, দিল্লির মসনদে বসার পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠাতে। তিনি বিশেষভাবে অভিযোগ করেছেন যে, আম আদমী পার্টির সরকার এতদিন অবৈধভাবে দিল্লিতে বসবাসকারী বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অমিত শাহ বলেছেন, এটি দিল্লি তথা দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কিছু অসাধু চক্র রয়েছে যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব চক্র ভেঙে দিতে হবে।
বিজেপি রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর প্রচারণা চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, আসাম এবং ত্রিপুরা অঞ্চলে এ প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশী মুসলিমদের মধ্যে ধর্মীয় মেরুকরণ সৃষ্টি করা, যা তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য সহায়ক হতে পারে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও সম্প্রতি এ বিষয়ে মন্তব্য করেছে এবং প্রশ্ন তুলেছে—যদি যুক্তরাষ্ট্র অবৈধভাবে প্রবেশ করা ভারতীয়দের ফেরত পাঠাতে পারে, তাহলে ভারত কেন বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে পারবে না?
এখন প্রশ্ন হলো, ভারত কি সফলভাবে তাদের "বাংলাদেশী মুক্ত" পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে, নাকি এটি শুধুই একটি রাজনৈতিক ফাঁদ হিসেবে থেকে যাবে?
রাজ/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না