ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

সেনাপ্রধানের বার্তা: ডিসেম্বরে সুষ্ঠু নির্বাচন ও দেশের একতার আহ্বান

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১১:৫২:৫২
সেনাপ্রধানের বার্তা: ডিসেম্বরে সুষ্ঠু নির্বাচন ও দেশের একতার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান বলেছেন, “এনাফ ইজ এনাফ। এখন সময় এসেছে একত্রিত হয়ে কাজ করার, এবং যদি আমরা নিজেদের মধ্যে হানাহানি করতে থাকি, তবে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে যাবে।”

রাজধানী ঢাকার রাওয়া কনভেনশনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে, যেখানে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেনাপ্রধান এ কথা বলেন। তিনি জানান, “আমি নিজে একজন চাক্ষুস সাক্ষী ছিলাম সেই বর্বরতার। তবে, আমাদের মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনা সদস্য করেনি, এটি সম্পূর্ণভাবে তদানীন্তন বিজিবি সদস্যদের কাজ ছিল।”

সেনাপ্রধান আরও বলেন, “২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ৫৭ জন চৌকস অফিসারসহ অনেক সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের এমন বর্বরতার পুনরাবৃত্তি কখনই হতে পারে না। বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘকাল ধরে চলছে, কিন্তু যারা দোষী, তারা দোষী। এখানে কোনো ‘ইফ’ বা ‘বাট’ নেই।”

তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, “যদি আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি ও কাটাকাটি করি, তবে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। আমাদের একত্রিত হতে হবে। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ রেখে যেতে চাই। একসঙ্গে কাজ করতে না পারলে, আমরা নিজেদের ক্ষতি করছি।”

নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং ইনক্লুসিভ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রত্যাশা করছি।”

তিনি আরও জানান, “আমি প্রথমেই বলেছিলাম, ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমার ধারণা, সরকার এখন সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই নির্বাচন পুরোপুরি ফ্রি এবং ফেয়ার হবে।”

সেনাপ্রধান সবার প্রতি আবারো সতর্ক করে বলেন, “আমরা যদি নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করি এবং একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ করি, তবে দেশের শান্তি এবং শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, তবেই আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।”

তিনি তার বক্তব্যে যোগ করেন, “আমাদের সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশে শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”

সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান নিয়ে এসেছে। তিনি দেশবাসীকে একত্রিত হওয়ার এবং একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত