ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

সেনাপ্রধানের নতুন বার্তায় রাজনীতির মাঠে ব্যাপক পরিবর্তন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৭ ১১:০১:১৭
সেনাপ্রধানের নতুন বার্তায় রাজনীতির মাঠে ব্যাপক পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের আইন-শৃঙ্খলার ক্রমবর্ধমান অবনতির মধ্যে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, যা দেশের শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধানের কঠোর বক্তব্য জনমনে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। তার বার্তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জনগণের জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে।

সেনাপ্রধান তার জরুরি বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলেছেন, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। তিনি বলেন, “এখনই যদি সবাই সতর্ক না হন, তবে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” তার একমাত্র লক্ষ্য, তিনি জানান, “দেশ এবং জাতিকে একটি সুন্দর জায়গায় রেখে যাওয়া।”

রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “যদি আমরা নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে একে অপরকে আক্রমণ করি, তবে এই জাতির স্বাধীনতা এবং একতা বিপন্ন হয়ে যাবে।” তিনি মনে করেন, দেশের আইনি শৃঙ্খলা সংকটের পেছনে কিছু গভীর কারণ রয়েছে। একদিকে রাজনীতিবিদদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, অপরদিকে অপরাধীরা পরিস্থিতিকে নিজেদের সুবিধায় ব্যবহার করছে। তার মতে, শান্তি বজায় রাখতে হলে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই) কাজের প্রশংসা করে সেনাপ্রধান বলেছেন, তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের দুর্বল করলে দেশের শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হবে না। তিনি সতর্ক করেছেন, “যদি সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে দেশের শান্তি রক্ষা করা অসম্ভব হবে।”

সেনাপ্রধান আরও জানিয়েছেন, “আমরা ৩০,০০০ সৈন্য দিয়ে দেশের শান্তি রক্ষা করার চেষ্টা করছি, কিন্তু এই বিশাল দায়িত্ব শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর নয়। পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব এবং অন্যান্য বাহিনী একত্রিত হয়ে দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করছে।” তিনি আরও বলেন, “এটি আমাদের নিজস্ব সৃষ্টি, আমাদের নিজেদের তৈরি শৃঙ্খলা। যদি আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ করি, তবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। আমাদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে, তবেই এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।”

তিনি আরও বলেছেন, "আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে দুর্বল করলে দেশের শান্তি থাকবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সংগঠিত হতে হবে, তবেই আমরা এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব।"

সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য রাজনৈতিক মাঠে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। তার কঠোর অবস্থান এবং জনগণকে সতর্ক করার আহ্বানে রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে, এবং সবাই একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সেনাপ্রধানের এই বার্তা দেশের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে নতুন আলোচনায় এনেছে।

রাজ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত