সদ্য সংবাদ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৫৩ বছরের হিসাব পরিবর্তন করে দিলেন নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্য পদত্যাগী তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, তার পদত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক স্থাপন করেছেন বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাদের মতে, সরকারি ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে জনগণের মাঝে ফিরে এসে, নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়েছে, "নাহিদ ইসলাম শুধু এক দফার ঘোষক হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেননি, বরং তিনি সরকারি গাড়ি, বাংলো, ভিআইপি প্রটোকল, ক্ষমতা সব কিছু ছেড়ে জনতার কাতারে এসে আমাদের ৫৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, জনগণের প্রয়োজনে, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া যায়—এটা তিনি প্রমাণ করেছেন।"
পদত্যাগপত্র প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে জমা দেওয়ার পর নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "আমি মনে করেছি, সরকারের দায়িত্বে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন। তাই আমি পদত্যাগ করেছি এবং সব কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "৮ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর জাতীয় নিরাপত্তা এবং গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়া ছিল যুক্তিসঙ্গত। গত সাড়ে ছয় মাসে সরকারের কাজের ফলাফল এখনও পুরোপুরি আশা অনুযায়ী না হলেও, সরকারের মধ্যে একটি স্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে।"
নাহিদ ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, "বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে রাজপথে থাকা ও ছাত্র-জনতার সাথে যুক্ত হওয়া জরুরি।" তিনি আরও বলেন, "আমরা যে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি, তার জন্য এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার শক্তিকে একত্রিত করতে আমার রাজপথে থাকা প্রয়োজন।"
তিনি আরো বলেন, "এটি শুধুমাত্র আমার সিদ্ধান্ত নয়, আমাদের সহযোদ্ধারাও একই দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করার জন্য আমাকে উৎসাহিত করেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং জনগণের স্বার্থে, সরকারের বাইরে থেকে আমার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আমি পদত্যাগ করেছি।"
এভাবে, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ শুধু তার রাজনৈতিক জীবনেই এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, বরং এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি গভীর প্রভাব ফেলেছে, যা ভবিষ্যতে ইতিহাস হয়ে থাকবে।
আহমেদ/