ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে যে নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১২:৩৪:১৯
বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে যে নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি যৌথবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। তবে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেড়ে গেছে অপরাধের ঘটনা, যার মধ্যে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত। এসব ঘটনার ফলে জনগণের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা সদস্যদের নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি যৌথবাহিনীর সদস্যদের ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এসব অপরাধ বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যেমন বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাই ও মোহাম্মপুরে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা।

এসব ঘটনার পর জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি সাভার ক্যান্টনমেন্টে আয়োজিত একটি ফায়ারিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান বলেন—

"আমরা ধারণা করেছিলাম যে, দ্রুত কাজ শেষ করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাব, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। কাজটি দীর্ঘমেয়াদী হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে।"

তিনি আরও বলেন— "যতদিন পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেয় এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে না আসে, ততদিন সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।"

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সেনাসদস্যদের পেশাদার আচরণ বজায় রাখার ওপর জোর দেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন— "অপ্রয়োজনীয় বল প্রয়োগ করা যাবে না, যতটুকু না করলেই নয়, ঠিক ততটুকুই করতে হবে। যৌথবাহিনীর সদস্যদের অবশ্যই সংযত থাকতে হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় উশৃঙ্খল আচরণ করা যাবে না।"

তিনি আরও বলেন— "যদি বল প্রয়োগ করতে হয়, তবে তা অবশ্যই ন্যূনতম এবং আনুপাতিক হারে হতে হবে। কম বল প্রয়োগের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করাই সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি। একসঙ্গে কাজ করলে আমরা নিশ্চয়ই দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব।"

ফায়ারিং প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে সেনাপ্রধান বলেন— "ফায়ারিং হল একজন সেনাসদস্যের মৌলিক প্রশিক্ষণের অপরিহার্য অংশ। প্রতিবছর আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা সেনাসদস্যদের দক্ষতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়।"

চলমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনাপ্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী, সেনাসদস্যদের শৃঙ্খলা, ধৈর্য এবং সংযম বজায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে হবে। জনগণের আশা, যৌথবাহিনীর কার্যকর তৎপরতার মাধ্যমে দেশ আবারও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসবে।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত