ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তনের কারনে বড় দুঃসংবাদ পেল ভারত

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৫:৩৩:৫৩
ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তনের কারনে বড় দুঃসংবাদ পেল ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: একসময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ভারতের শেয়ারবাজার। তবে সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে দেশটি এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দ্রুত ভারতের বাজার থেকে পুঁজি সরিয়ে নিচ্ছেন, যা অর্থনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১,৪১৮ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। শুধু ভারতই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশও বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতির কারণেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। ট্রাম্প স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছেন, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। এর জেরে ভারতীয় বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দ্রুত মূলধন প্রত্যাহার করছেন।

এদিকে, চীনের বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও তুলনামূলক কম উৎপাদন খরচের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ভারতের পরিবর্তে চীনের বাজারে ঝুঁকছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট নতুন বিনিয়োগ নীতির মাধ্যমে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন, যা ভারতের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২৪ সালের প্রথম দুই মাসেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারত থেকে ১ লাখ কোটি রুপিরও বেশি মূলধন প্রত্যাহার করেছেন। ফেব্রুয়ারিতেই ২৩,৭১০ কোটি রুপির শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।

২০২৩ সালে ভারতের শেয়ারবাজারে রেকর্ড ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি রুপির বিদেশি বিনিয়োগ এলেও, ২০২৪ সালে তা নেমে এসেছে মাত্র ৪২৭ কোটি রুপিতে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ঋণ বাজারেও বিদেশি বিনিয়োগের অনাগ্রহ স্পষ্ট। চলতি মাসে সাধারণ ঋণ খাত থেকে ৭,৩৫২ কোটি রুপি এবং স্বেচ্ছামূলক ঋণ খাত থেকে ৩,৮২২ কোটি রুপি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বাজার পুনরুদ্ধারের জন্য কর্পোরেট আয়ের প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি। রূপীর অবমূল্যায়ন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়েই রয়েছে।

ভারতের জন্য সামনের দিনগুলো সহজ হবে না। ট্রাম্পের নীতির প্রভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলা করে ভারত কত দ্রুত বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে পারবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

হানিফ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত