ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

হঠাৎ ভাইরাল দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১৫:৩১:০৭
হঠাৎ ভাইরাল দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!

ড. মোহাম্মদ ইউনুস চেয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত, এবং তার বিশ্বাস ছিল যে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরই একমাত্র সংস্থা যারা এই গণঅভ্যুত্থানে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম। যদিও বাংলাদেশের অনেকেই জানতেন, জুলাই ও আগস্টে কী ঘটেছিল, কে বা কারা হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল, পুলিশের ভূমিকা কী ছিল এবং নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কর্মীরা কী ভূমিকা পালন করেছিল, তবুও আন্তর্জাতিকভাবে নিরপেক্ষ কোনো সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল। এমনকি যদি সেই সত্য অপ্রিয় হয়, তাতেও কোনো আপত্তি ছিল না।

ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘‘এখন, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের ওপর মাত্র পাঁচ লাখ টাকায় আপনি একটি হোটেল মালিক হতে পারেন।’’ এই মন্তব্যটি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রকাশ করা হয়, যেখানে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘অবশেষে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উপর চূড়ান্ত আঘাত করেছে। তার রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা এখন প্রায় নেই।’’

আওয়ামী লীগ এবং তাদের কর্মী বাহিনী, যারা জুলাই এবং আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, যদি দলটি পুনরুজ্জীবিত করতে চায়, তবে তাদের একমাত্র উপায় হবে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে প্রত্যাখ্যান করা এবং জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। জাতিসংঘের প্রতিবেদন এতটাই স্পষ্ট ছিল যে, এর কোন ব্যাখ্যার সুযোগ ছিল না।

তিনি আরও বলেন, ‘‘১৯৯০ সালে, যখন সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ গণ আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন, তখন তার বয়স ছিল ৫৯ বছর। তিনি ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত এক শাসক। এরশাদের পতনের পর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে কারাগারে পাঠায় এবং দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে। খালেদা জিয়ার সরকারও একই নীতি অনুসরণ করে। এরশাদের জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দলে গ্রহণ করে, ফলে তার রাজনীতিতে ফিরে আসার কোনো বাধা ছিল না।’’

‘‘সবাই জানতো, এরশাদ ফিরে আসবে কারণ তার একটি বিশাল ভোট ব্যাংক ছিল, বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে। এবং শেষ পর্যন্ত, তিনি রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করে প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির কিংমেকার হিসেবে অবস্থান করে থাকেন।’’

তবে, এরশাদ তখন আন্তর্জাতিক মহলে খুব বেশি আলোচনার মুখে পড়েননি। তার শাসনামলে কিছু উচ্চপ্রোফাইল হত্যাকাণ্ড ঘটলেও, কোনো তদন্তে প্রমাণ মেলেনি যে তিনি এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রভাব এতটাই দৃঢ় ছিল যে, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে হালকাভাবে দেখা হয়েছিল।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ এরকম সৌভাগ্য লাভ করেননি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো শেখ হাসিনার শাসনামলের প্রায় সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। তার শাসনে ভোট কারচুপির কৌশল, নির্লজ্জ ঘুম, গণহত্যা, গণগ্রেফতার, এসবের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র নিন্দা উঠেছে। তারপরও, সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কারণে তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছিলেন, কিন্তু জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন তার সকল প্রচেষ্টা ধ্বংস করে দিয়েছে।

শেষে, শফিকুল আলম লিখেছেন, "দুঃখিত, আপা! এটি শেষ।"

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত