সদ্য সংবাদ
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে যা উঠে আসলো

জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে বাংলাদেশে একটি অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত দল। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টুর্ক এই তদন্তের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিক্ষোভের সময় আবু সাঈদ দু'বাহু ছড়িয়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ‘আমাকে গুলি করুন’ বলে চিৎকার করেন, যা ভিডিও ফুটেজে ধারণ করা হয়।
তদন্তে কী উঠে এসেছে?
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভিডিও ফুটেজ, স্থিরচিত্র ও ভূ-অবস্থান প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তকারীরা আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন।
একটি ফরেনসিক বিশ্লেষণে উঠে আসে যে, প্রায় ১৪ মিটার দূরত্ব থেকে ধাতব গুলিভর্তি শটগান দিয়ে তাকে অন্তত দুবার গুলি করা হয়। জাতিসংঘের মতে, এসব প্রমাণ থেকে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে আবু সাঈদ একটি ‘ইচ্ছাকৃত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ শিকার হয়েছেন।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের মন্তব্য
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বলেন, “এই নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশলের অংশ, যার মাধ্যমে তারা জনতার বিরোধিতা দমন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “বিক্ষোভ দমনের কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে ব্যাপক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেফতার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর দৃষ্টান্ত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবেও গণ্য হতে পারে। ভলকার টুর্ক জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং জাতীয় নিরাময়ের জন্য দায়বদ্ধতা ও ন্যায়বিচার অপরিহার্য।”
স্বাধীন তদন্ত ও প্রমাণ সংগ্রহ
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় গত সেপ্টেম্বরে একটি তদন্ত দল পাঠায়। এ দলে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, ফরেনসিক চিকিৎসক এবং অস্ত্র বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাদের কাজ ছিল মরণঘাতী ঘটনাগুলোর ওপর নিরপেক্ষ ও স্বাধীন অনুসন্ধান পরিচালনা করা।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনের প্রকাশের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ঘটনায় স্বচ্ছ বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না