সদ্য সংবাদ
শাহবাগে আন্দোলন: সরকারি চাকরির স্বীকৃতি চাইছেন ৬ হাজার শিক্ষক

শাহবাগে আজ সকাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত (৩য় ধাপ) শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা মূল সড়কে ওঠার চেষ্টা করলে, পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন। একই সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়।
এসময়, আন্দোলনকারীরা ব্যানার নিয়ে শাহবাগ মোড়ের সংযোগ সড়কে অবস্থান নেন। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান লিখিত প্ল্যাকার্ড। আন্দোলনকারীদের স্লোগান ছিল- "আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম", "হয়ত মোদের যোগদান দিন, নয়ত মোদের জীবন দিন", "থাকার কথা বিদ্যালয়ে, আমরা কেন রাজপথে", "প্রথম ধাপ চাকরি করে, আসরা কেন রাজপথে", "এক নিয়োগে দুই নীতি, মানিনা মানবো না", "এক দফা এক দাবি, চাকরি নিয়ে ফিরব বাড়ি", "আবু সাঈদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই" সহ অন্যান্য স্লোগান।
এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা দাবি করেছেন, সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ বিজ্ঞপ্তি তিনটি ধাপে ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম ও অপেক্ষমাণ তালিকায় নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলেও, তৃতীয় ধাপের নিয়োগ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযোগ করছেন, তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্তরা ইতোমধ্যে মেডিকেল পরীক্ষা, জেলা শিক্ষা অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করেছেন। তবে, তাদের এখনও নিয়োগ দেয়া হয়নি, ফলে প্রায় ৬ হাজার ৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেনস্থা ও মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছে।
শিক্ষকরা আরও জানান, অনেকেই সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে এই প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু নিয়োগের স্বীকৃতি না পেয়ে তারা এখন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই তাদের দাবি, হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের কাজে যোগদান করার সুযোগ দেওয়া হোক।
এদিকে, গতকাল (১০ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগ মোড়ে প্রাথমিকের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অবরোধ করলেও, পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। পুলিশের অভিযানে কয়েকজন শিক্ষককে হেফাজতে নেয়া হয়।
তবে এই আন্দোলনের পেছনে মূল বিষয় হলো, ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ হাজার ৫৩১ জন শিক্ষককে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় মেধা ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে ১৯ নভেম্বর ২০২৪ সালে, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর এই নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল।
এখন, সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ফের একবার আদালতের রায় বাতিল করার দাবি জানিয়ে শাহবাগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- সহবাস শেষে বীর্য বাহিরে ফেললে কি গুনাহ হবে
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকট শব্দ হতে পারে, আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার পরামর্শ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ