ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৬ ১৭:৪৪:৩৯
ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

ঢাকা: ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে "অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত" হিসেবে বর্ণনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, এই ভাঙচুরের ঘটনা পলাতক শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলস্বরূপ ঘটে। গত কয়েক মাসে ৩২ নম্বর বাড়িতে কোনো ধরনের আক্রমণ হয়নি, তবে পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর জনমনে গভীর ক্ষোভ তৈরি হয়, যা এই ঘটনাকে উস্কে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শেখ হাসিনার বক্তব্য ও ভাঙচুরের ঘটনা

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "শেখ হাসিনার বক্তব্যে দুইটি অংশ ছিল, যা জনমনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। প্রথমত, জুলাই মাসে হওয়া গণ-অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি শেখ হাসিনার অশ্রদ্ধা ছিল। তিনি শহীদের মৃত্যু সম্পর্কে অবান্তর ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন, যা গণ-অভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করার শামিল। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা যেভাবে বক্তব্য দিতেন, একই সুরে তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরেও গণ-অভ্যুত্থান এবং এর সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের হুমকি দিয়ে চলেছেন।"

৩২ নম্বর বাড়ির ভাঙচুর ও জনমনে ক্ষোভ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, "শেখ হাসিনার এই সহিংস আচরণের কারণে জুলাই গণহত্যা নিয়ে মানুষের যে ক্ষত রয়েছে, তাতে একের পর এক আঘাত করে যাচ্ছেন তিনি। তার এই আচরণের প্রতিক্রিয়াতেই ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।"

অন্তর্বর্তী সরকারের সতর্কতা

অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়ে দিয়েছে, তারা দেশ ও জনগণের জানমাল রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, "শেখ হাসিনা যদি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আসামি হয়ে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন, তাহলে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত।"

ভারতের ভূমিকা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা

অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, "ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে ব্যবহার না করে এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়।"

গণহত্যাকারীদের বিচার ও আইনগত পদক্ষেপ

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জুলাই মাসের হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকার্য অব্যাহত রয়েছে। "গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব," বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

এই বিবৃতির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ এবং এ ধরনের সহিংস ঘটনা আর পুনরাবৃত্তি না হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত