২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া

ক্রিকেটের জমকালো মঞ্চ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। কে জিতবে শিরোপা? কোন দল ফাইনালে পৌঁছাবে? এসব প্রশ্নের উত্তরে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার নামই সামনে এনেছেন দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী ও রিকি পন্টিং। আইসিসি রিভিউ-তে সঞ্চালক সঞ্জনা গণেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারা মনে করেন, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও প্রতিভার গভীরতা বিবেচনায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়াই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ফেভারিট।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং মনে করেন, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আইসিসি ইভেন্টের নকআউট পর্বে তাদের উপস্থিতি একপ্রকার নিশ্চিত। তিনি বলেন, "যখনই বড় মঞ্চের কথা আসে, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। সাম্প্রতিক ইতিহাসের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, বড় ম্যাচে এই দুই দলই সামনে থাকে।"

ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীও পন্টিংয়ের সঙ্গে একমত। তবে তিনি মনে করেন, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে। তার ভাষায়, "ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান স্কোয়াড দারুণ শক্তিশালী। তাদের থামানো সহজ হবে না। তবে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো সেমিফাইনাল পর্যন্ত ভালো করতে পারে।"

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সমান দুটি করে শিরোপা জিতেছে। ভারত ২০০২ সালে (যৌথভাবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে) এবং ২০১৩ সালে শিরোপা জিতেছিল, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ২০০৬ ও ২০০৯ সালে টানা দুইবার ট্রফি ঘরে তোলে। দুই দলই অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার সংমিশ্রণে এবারও শিরোপার জন্য অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

ফাইনালের সম্ভাব্য দল হিসেবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নিলেও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্মের প্রশংসা করেছেন রিকি পন্টিং। তিনি বলেন, "ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তান দারুণ উন্নতি করেছে। তারা হয়তো সবসময় সবচেয়ে ধারাবাহিক দল নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের পারফরম্যান্স অনেক গোছানো।"

২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জেতা পাকিস্তান এবার স্বাগতিক দেশ হিসেবে ঘরের মাঠে খেলবে, যা তাদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে ভালো পারফরম্যান্সের কারণে বাবর আজমের দলকেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে ধরা হচ্ছে।

২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি, যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তান মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ডের। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে জমজমাট লড়াই প্রত্যাশিত হলেও, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে ফাইনালের মঞ্চে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে। ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল ম্যাচটি হবে শিরোপার জন্য এক মহারণ, যেখানে দুই দলের সেরাদের লড়াই গড়ে তুলবে ক্রিকেট বিশ্বের আরেকটি ঐতিহাসিক অধ্যায়।

এখন দেখার বিষয়, শেষ হাসি হাসবে কারা—অস্ট্রেলিয়া নাকি ভারত? নাকি অন্য কোনো দল পাল্টে দেবে গল্পের মোড়? ক্রিকেটপ্রেমীরা অপেক্ষায় থাকবেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখার জন্য!