সদ্য সংবাদ
ট্রাম্পের কঠিন সিদ্ধান্ত, বিপদে ১ লাখের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী কঠোর নীতির কারণে দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নীতি বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের অবৈধ অভিবাসীদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে। বৈদেশিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তার মতে, এই নীতি থেকে বাংলাদেশিরা রেহাই পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের পরিকল্পনা করেছে। এ ধরনের নীতি বাস্তবায়িত হলে সেখানে জন্ম নেওয়া অনেক শিশুই নাগরিকত্ব হারানোর শঙ্কায় পড়বে।
বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর শঙ্কা
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রধান হুমায়ুন কবির বলেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করছেন, তাদের ফেরত পাঠাতে সংশ্লিষ্ট দেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে ট্রাম্প প্রশাসন। গণমাধ্যমের তথ্যমতে, এরই মধ্যে ভারত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ১৮ হাজার নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে।
নীতির বিস্তৃত প্রভাব
আরেক বিশ্লেষক এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, ট্রাম্প মূলত দক্ষিণ আমেরিকান অভিবাসীদের লক্ষ্য করে নীতি তৈরি করলেও এটি বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
মাহফুজুর রহমানের মতে, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসনবিরোধী নীতিকে আরও কঠোর করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন নীতির ফলে অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ আরও সহজ হবে।
বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ
অনানুষ্ঠানিক তথ্যমতে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি বাস করছেন, যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ অনথিভুক্ত। তাদের মধ্যে অনেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কারণে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি আইসিটি বিশেষজ্ঞ আফজাল হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বিশ্বব্যাপী মেধাবীদের স্বাগত জানিয়েছে। ট্রাম্প সেই নীতি থেকে বিচ্যুত হবেন না। তবে অপ্রয়োজনীয় অভিবাসীদের তাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাবেন।
সীমান্ত বন্ধ এবং নির্বাহী আদেশ
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত কার্যত বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া, অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনতে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর নীতি বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নীতি বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার হবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না