৩০ মিনিট ঠিকতে পারলেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন, তবে তার এই ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তিনি হার মানলেন—নিজের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের হাতে। গত রোববার মেলানিয়া ট্রাম্প তার নিজস্ব ভার্চুয়াল কয়েন 'মেলানিয়া' চালু করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে। এই কয়েনের বাজার মূল্য প্রথম ৩০ মিনিটেই ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছে যায়, যা দেখে ট্রাম্প পরিবারও অবাক।

এদিকে, ট্রাম্পের নিজের ভার্চুয়াল কয়েন 'ট্রাম্প কয়েন' উন্মুক্ত হওয়ার পর উত্থান ঘটলেও, এখন সে কয়েনের বাজার মূল্য দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। একদিনের মধ্যে 'ট্রাম্প কয়েন' ৪০ শতাংশ কমে গিয়ে তার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি ডলারে, যেখানে মেলানিয়া কয়েন এখনো শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

ট্রাম্প কয়েনের উত্থান-পতন

ট্রাম্প কয়েন, যা সোলানা ভিত্তিক টোকেন, উন্মুক্ত হওয়ার পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর মূল্য ১৯,০০০ গুণ বেড়ে ৩৬০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু মেলানিয়া ট্রাম্পের ভার্চুয়াল কয়েনের আবির্ভাব এবং জনগণের আগ্রহের ফলে 'ট্রাম্প কয়েন'-এর মূল্য পতনের মুখে পড়ে। মেলানিয়া ট্রাম্পের এক পোস্টের রিটুইটের পর ২০,০০০ মানুষ তার কয়েনে বিনিয়োগ করেছিলেন, তবে অনেকেই পরে সরে আসেন। ফলে ট্রাম্প কয়েনের বাজার মূল্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বাজারে প্রতিযোগিতা: ট্রাম্প বনাম মেলানিয়া

মেলানিয়া ট্রাম্পের ভার্চুয়াল কয়েনের প্রথম সফলতা বাজারে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। যদিও ট্রাম্প কয়েনের বাজার মূল্য দ্রুত পড়ে যাচ্ছে, মেলানিয়া কয়েনের বাজার মূল্য আরও বাড়ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মূল্যবৃদ্ধি ও পতন ট্রাম্প এবং মেলানিয়া ট্রাম্পের মধ্যে ভবিষ্যতে একটি ব্যবসায়িক যুদ্ধের ইঙ্গিত দিতে পারে।

স্বার্থের দ্বন্দ্ব এবং সমালোচনা

নতুন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তার স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রিপ্টো ব্যবসা নিয়ে নানা সমালোচনা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন সংস্থা যেমন সিটিজেন্স ফর রেসপন্সিবিলিটি এন্ড এথিক্স এই ব্যবসাগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ট্রাম্পের ৮০ শতাংশ মালিকানা এবং মেলানিয়ার ৩৫ শতাংশ মালিকানা নিয়ে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রশ্ন উঠছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যত: ট্রাম্পের অঙ্গীকার

ট্রাম্প এক্সে পোস্ট করে বলেন, এই কয়েনটি তার কমিউনিটির জন্য সমর্থন সৃষ্টির একটি শক্তিশালী উপায়। তিনি দেশকে ক্রিপ্টোকারেন্সির শক্তিশালী কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গীকার করেছেন, তবে তার এই পদক্ষেপের ফলে আইনগত এবং নৈতিক দিক থেকে কিছু চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি হতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোর মধ্যে টানাপোড়েন এবং বাজারমূল্যের ক্ষেত্রে এক নতুন প্রতিযোগিতা দেখা যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।