সদ্য সংবাদ
নির্বাচনী আচরণবিধিতে আসছে বড় পরিবর্তন: সংস্কার কমিশনের সুপারিশে নতুন দিকনির্দেশনা

নির্বাচনী আচরণবিধিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠিত সংস্কার কমিশন। তাদের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। যদিও এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে ইসি কর্মকর্তারা প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন যাতে নির্দেশনা পাওয়ার পর দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা যায়।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো
ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- ব্যানার ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট: নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
- ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান: প্রার্থীদের ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- মিডিয়ায় সমান সুযোগ: পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সরকারি গণমাধ্যমে প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ এসেছে।
- সাইবার সুরক্ষা: সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
- রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি: ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখার মতো রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব রয়েছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত সুপারিশ
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- স্থায়ী স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নতির জন্য একটি স্থায়ী কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন: জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সুপারিশ এসেছে।
- আইন সংশোধন: স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় করার জন্য প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- সিদ্ধান্ত গ্রহণে মেম্বারদের ভূমিকা: স্থানীয় সরকারের মেম্বার বা কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অর্থবহ ভূমিকা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
ড. বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, "নির্বাচন দুর্নীতিমুক্ত রাখতে দুর্বৃত্ত ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বন্ধে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারে চারটি প্রধান অংশীজন রয়েছে—সরকার, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনগণ। তবে সাধারণ জনগণ সচেতন হলে এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগোবে।"
ইসির প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পরিকল্পনা
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো ইতিবাচকভাবে নেওয়া হয়েছে। ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যালোচনা শেষ করে চূড়ান্ত নির্দেশনা প্রদান করবে। তাদের মতে, এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সব প্রস্তুতি আগেভাগেই নেওয়া হচ্ছে।
সুপারিশ তৈরির প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে গত ৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার এই কমিশন গঠন করে। কমিশন তাদের সুপারিশের সারসংক্ষেপ গত ১৫ জানুয়ারি প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে নির্বাচনব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও জবাবদিহিমূলক করতে আইনি কাঠামো তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জনগণের প্রত্যাশা
সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নির্বাচনী পরিবেশকে আরও স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণই এই প্রক্রিয়াকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- সহবাস শেষে বীর্য বাহিরে ফেললে কি গুনাহ হবে
- রেকর্ড পরিমাণ কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকট শব্দ হতে পারে, আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার পরামর্শ
- স্বর্ণের বাজারে ধস: কমছে দাম
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী