ব্রেকিং নিউজ: এক ঘণ্টা সময় পেলেই বাংলাদেশ দখলে নেয়ার হু ম কি দিলো ভারতের.....

নতুন বছর শুরু হতে না হতেই বিতর্কিত বক্তব্যে উত্তাপ ছড়ালেন ভারতের গঙ্গাসাগরের নাগা সাধুরা। বুধবার (১ জানুয়ারি), কপিলমুনির মন্দির প্রাঙ্গণে একত্রিত হয়ে কিছু নাগা সাধু দাবি করেন, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা বাংলাদেশ দখল করতে সক্ষম।

নাগা সাধুদের এই হুমকির পেছনে রয়েছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ এবং বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য। রিজভী তার বক্তব্যে ঐতিহাসিক বাংলার গৌরবের প্রসঙ্গ তুলে বলেন,

“বাংলা একসময় বিহার এবং উড়িষ্যার সঙ্গে একত্রিত ছিল। সেই শক্তি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।”

কপিলমুনির মন্দির এলাকায় এক সমাবেশে নাগা সাধুরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সরাসরি হুমকি দেন। এক সাধু বলেন,

“যদি সরকার কিছু করতে না পারে, তাহলে আমাদের ছেড়ে দিন। আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে ঢুকে সব সমস্যার সমাধান করব।”

অন্য একজন সাধু আরও বলেন,

“বাংলাদেশে যা চলছে, তা অন্যায়। হিন্দুদের অত্যাচার বন্ধ না হলে আমাদের তরবারি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সনাতন ধর্ম রক্ষায় আমরা প্রস্তুত।”

গঙ্গাসাগর মেলা এবং নাগা সাধুদের ভূমিকাগঙ্গাসাগর মেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপে অনুষ্ঠিত একটি বিশাল ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর হাজার হাজার পুণ্যার্থী ও সাধু এই মেলায় যোগ দেন। তবে এই বছর নাগা সাধুদের এমন বক্তব্য পুণ্যার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

সাধারণ পুণ্যার্থীরা নাগা সাধুদের এই হুমকিকে অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত থাকলেও, এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দুই দেশের শান্তি ও সহযোগিতার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

একজন পুণ্যার্থী বলেন,

“আমরা আশা করি, বাংলাদেশ ও ভারত শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করবে। এই ধরনের হুমকি কোনো সমাধান আনবে না।”

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটসাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ঘিরে দুই দেশের আলোচনায় ভিন্নমত রয়েছে।

নাগা সাধুদের এই বক্তব্য কেবল ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোড়ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখে এসব সমস্যার সমাধান করা উচিত। উসকানিমূলক বক্তব্য না দিয়ে সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন দুই দেশের শান্তিকামী জনগণ।