সদ্য সংবাদ
ব্রেকিং নিউজ: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের যে প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নে বিএনপি আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেন, "বাংলাদেশের পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে 'অস্বাভাবিক দরদ' রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। মোদী সাহেব যদি তাকে এত পছন্দ করেন, তাহলে শেখ হাসিনাকে ভারতের কোনো প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দেওয়া উচিত।"
দুলু দাবি করেন, শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে বিশেষ সমর্থন পাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার স্বৈরাচারী অবস্থান বজায় রাখতে সহায়ক। তিনি আরও বলেন, "মোদী সাহেবকে শেখ হাসিনা এমন কিছু শিখিয়ে দিতে পারবেন, যা শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের নির্বাচনেও প্রয়োগ করা যাবে। যেমন, দিনের ভোট রাতে কীভাবে করা হয় এবং ভোটার ছাড়াই কীভাবে নির্বাচন জয় করা যায়।"
বক্তব্যের এক পর্যায়ে দুলু আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বলেন, "শেখ হাসিনা এবং তার দল ভারতের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তাদের কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।"
তিনি আরও দাবি করেন, "ভারত সরকারের সমর্থনে আওয়ামী লীগ দেশের বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। তবে বাংলাদেশের জনগণ এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত।"
বিএনপির এই নেতা তার বক্তব্যে দলের কর্মী-সমর্থকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দেশের সব দল, মত, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের একত্রিত হওয়া প্রয়োজন। আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব এবং দেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করব।"
দুলুর এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক নিয়ে এমন মন্তব্য আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তীব্র বিরোধ চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিরোধ আরও বাড়তে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুলুর এই বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।