ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২

এইমাত্র পাওয়া: পরিস্থিতি থমথমে, পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১১ ১৪:১৫:৩৬
এইমাত্র পাওয়া: পরিস্থিতি থমথমে, পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে

সরকার ঘোষিত বাৎসরিক ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে পোশাক শ্রমিকরা ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অন্তত ১২টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নরসিংহপুরসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। তাদের অভিযোগ, সরকারের ঘোষিত ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ তাদের জীবনযাত্রার জন্য যথেষ্ট নয়।

হামীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল-মূসলীম ও সেতারা গ্রুপসহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা ফ্লোরে বসে অবস্থান নেন। এ সময় অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলনে শামিল হন।

আন্দোলনের মুখে নাসা ও ট্রাউজার লাইন কারখানা শ্রম আইন ১৩(১) ধারা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। ব্যান্ডো ডিজাইনসহ আরও কয়েকটি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

বিশৃঙ্খলা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, "শ্রমিকরা সরকারের প্রস্তাবিত ইনক্রিমেন্টে সন্তুষ্ট নন এবং তারা ১৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।"

অসন্তোষ নিরসনে শ্রমিক, মালিক ও প্রশাসনের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমাধান পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

আশুলিয়ার পোশাক শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১২টি কারখানায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান দ্রুত সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ