মাহমুদউল্লাহ’র ফিফটি, অল-আউট বাংলাদেশ

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। একাধিক ব্যাটারের ব্যর্থতার দিনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তরুণ তানজিম হাসান সাকিবের দারুণ লড়াইয়ে ২২৭ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।

ইনিংসের শুরুতে দেখেশুনে খেললেও নিজের চতুর্থ ওভারে মারকুইনো মাইন্ডিলিকে দুই ছক্কা ও একটি চারে শাসন করেন তানজিদ হাসান তামিম। সেই ওভারে ১৮ রান তুলে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তিনি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪৬ রানে রস্টন চেজের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

অপর প্রান্তে সৌম্য সরকার এদিন ব্যর্থ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মিড অন দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ২ রান করে ফেরেন তিনি।

সৌম্যের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে যান লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সিলসের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লিটন পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন। ১৮ বলে মাত্র ৪ রান করেন তিনি। মিরাজও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। সিলসের বল মিস করে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাত্র ১ রানে।

৭ উইকেটে ১১৫ রানে বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব মিলে দলকে বড় ধস থেকে উদ্ধার করেন। দুজন মিলে অষ্টম উইকেটে ৯২ রানের জুটি গড়েন, যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অষ্টম উইকেটে সর্বোচ্চ।

তানজিম নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা এই ইনিংসে ছিল ৪টি চারের মার। তবে মাত্র ৫ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। রস্টন চেজের বলে ফলোথ্রুতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চাপের মধ্যে থেকে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন। ৮৪ বলে তুলে নেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফ সেঞ্চুরি। থার্ডম্যান দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৬২ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

শেষ দিকে শরিফুল ইসলামের ১৫ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ ২২৭ পর্যন্ত পৌঁছায়।

জেইডেন সিলস দারুণ বোলিং করেছেন। মাত্র ২২ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান তিনি। তাকে ভালো সঙ্গ দেন রস্টন চেজ ও গুড়াকেশ মতি।

বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড (৪৫.৫ ওভারে ২২৭/১০)

সৌম্য সরকার: ২

তানজিদ হাসান: ৪৬

লিটন দাস: ৪

মেহেদী হাসান মিরাজ: ১

আফিফ হোসেন: ২৪

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: ৬২

তানজিম হাসান সাকিব: ৪৫

শরিফুল ইসলাম: ১৫

জাকের আলী: ৩

রিশাদ হোসেন: ০

নাহিদ রানা: ০*

বাংলাদেশের একাদশ

সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম।

২২৭ রানের লক্ষ্য কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, সেটি এখন নির্ভর করছে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর।