সদ্য সংবাদ
কে এই বাশার আল-আসাদ, জেনেনিন তার সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য

বাশার আল-আসাদ, আধুনিক সিরিয়ার এক আলোচিত ও বিতর্কিত নাম। তার নেতৃত্বে দেশটি পেরিয়েছে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের অধ্যায়। পরিবারিক শাসনব্যবস্থা এবং দীর্ঘদিনের ক্ষমতায় থাকার ইতিহাস তাকে একাধারে প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও স্বৈরাচারী শাসকের মর্যাদা দিয়েছে।
হাফেজ আল-আসাদ, বাশারের পিতা, ১৯৭১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাকে আধুনিক সিরিয়ার রূপকার বলা হয়। তার শাসনামলে অর্থনীতি এগিয়ে নেয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখালেও তাকে স্বৈরতান্ত্রিক শাসক হিসেবে দেখা হত। ২০০০ সালে তার মৃত্যু হলে ক্ষমতায় আসেন তার ছেলে বাশার আল-আসাদ।
১৯৬৫ সালে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন বাশার। চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর চক্ষু বিশেষজ্ঞ হওয়ার লক্ষ্যে তিনি লন্ডনে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে বড় ভাই বাসেল আল-আসাদের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর বাশারকে সিরিয়ায় ফিরে আসতে হয়। বাবার নির্দেশে সামরিক বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ২০০০ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হন বাশার।
প্রথমদিকে আশার আলো
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাশার আল-আসাদের শুরুর দিকটি ছিল বেশ আশাব্যঞ্জক। তরুণ, পশ্চিমা শিক্ষিত এবং আধুনিক মনোভাবাপন্ন এই নেতাকে সিরিয়ার জনগণ পছন্দ করতেন। তবে ২০০৭ সালে পুনর্নির্বাচনের পর থেকে তার শাসনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ক্ষমতা ধরে রাখতে তিনি বিরোধী মত দমন শুরু করেন।
২০১১ সালে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দেরাতে প্রথম সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং বাক্স্বাধীনতার অভাব ছিল এই বিক্ষোভের মূল কারণ। সরকারি বাহিনীর সহিংস জবাবের কারণে আন্দোলনটি সশস্ত্র সংগ্রামে পরিণত হয়। এতে শুরু হয় দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ।
১৩ বছরের এই যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং দেশের অর্ধেক জনগণ উদ্বাস্তু হয়েছে। এই সংঘাতের মধ্যেও বাশার আল-আসাদ তার ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হন।
গৃহযুদ্ধ চলাকালে রাশিয়া, ইরান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ আসাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে কাজ করে। এই সময়ে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার এবং জোরপূর্বক গুমের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। ২০২৪ সালের সাজানো নির্বাচনে তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যদিও এটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা ছিল।
সম্প্রতি বিদ্রোহীরা আলেপ্পো, হামা এবং হোমসের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। সাধারণ জনগণের সমর্থন নিয়ে তারা রাজধানী দামেস্কও দখল করে। অবশেষে বাশার আল-আসাদ অজানা গন্তব্যে পালিয়ে যান।
বাশার আল-আসাদের শাসন সিরিয়ার ইতিহাসে এক দুঃখজনক অধ্যায়। ক্ষমতা ধরে রাখতে তার স্বৈরাচারী নীতি এবং দমনমূলক পদক্ষেপ দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। তার শাসনের পরিণতি থেকে মুক্তি পেতে সিরিয়ার জনগণকে এখনো লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- যাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- ইরানের বিজয় ও মহানবী (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- বাংলাদেশের ১০টি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক, ২০২৪-এর পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে
- আগামী ২৪ ঘণ্টা কেন ভয়ংকর হতে পারে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: চীনের অবস্থান স্পষ্ট
- বি-২ বোমারু বিমান কীভাবে রাডার ফাঁকি দিয়ে ইরানে হামলা চালালো
- তেহরান খালি করার ডাক দিলেন ট্রাম্প, উঠছে নানা প্রশ্ন
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত কিছু দেশ
- মৃত্যুর পর ভাইবোনের আর দেখা হবে না
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- শিয়ারা কি মুসলমান নয়! কী বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ