ব্রেকিং নিউজ: নিজ স্ত্রীর দেয়া শাড়ি ছুড়ে মারলেন রুহুল কবির রিজভী

ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় তিনি নিজের স্ত্রীর দেওয়া একটি ভারতীয় শাড়ি প্রকাশ্যে ছুড়ে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘দেশীয় পণ্য, কিনে হও ধন্য’ শীর্ষক একটি সভায় তিনি এ প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

রিজভী তার বক্তব্যে বলেন, “ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে বাংলাদেশ সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা একদম সঠিক। আমরা কষ্ট করে বাঁচব, কিন্তু মাথা নত করব না। ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে চায়নি এবং আজও আমাদের দমিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু কোটি কোটি বাঙালি ভারতের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতের পছন্দের নেতা হয়েছেন। তিনি গুম-খুনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কণ্ঠরোধ করেছেন। অথচ ভারত তাকে সমর্থন করলেও বাংলাদেশের মানুষকে সম্মান করে না।”

রিজভী আরও বলেন, “ভারতীয় সরকার সবসময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। তারা বাংলাদেশকে তাদের উপনিবেশ বানাতে চেয়েছে। কিন্তু এ দেশের মানুষ কখনো কারো কাছে মাথা নত করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না।”

সভায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দেশের মানুষকে এখন নিজেদের পণ্য কেনার দিকে ঝুঁকতে হবে। দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পারলেই ভারতীয় আধিপত্য রোধ করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশীয় পণ্যের প্রতি আস্থা রাখতে এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন মহল।

রিজভীর নেতৃত্বে আয়োজিত এ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির অন্যান্য নেতারাও। তারা বলেন, “দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে ভারতীয় পণ্য বর্জন এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”