সদ্য সংবাদ
‘আমুর নির্দেশে কারফিউ, কামরুলের নির্দেশে গু*লি-গ*ণ*হ*ত্যা’

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকে বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। প্রসিকিউশনের দাবি, ১৯৭৫ সালের ছাত্র আন্দোলন দমনে আমির হোসেন আমু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯ জুলাই গণভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি ছাত্রদের দমন করার জন্য কারফিউ জারির নির্দেশ দেন এবং আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলি করার কথা বলেন। পরবর্তীতে তার নির্দেশে পুলিশ প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে এবং ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়।
প্রসিকিউটররা জানান, আমির হোসেন আমু রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালীন গণহত্যা ঠেকানোর কোনো পদক্ষেপ নেননি। তার নির্দেশে পুলিশ, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালায়।
এছাড়া, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন, গুলি বর্ষণ এবং গণহত্যা চালানো হয়। কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।
৪ ডিসেম্বর, বুধবার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমির হোসেন আমু এবং কামরুল ইসলামকে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এবং অন্যান্য সদস্যরা এই আদেশ দেন। প্রসিকিউটরদের মধ্যে ছিলেন বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী মনোয়ার হোসেন, তারেক আব্দুল্লাহ এবং শাইখ মাহদী।
এই মামলায় গত ১৭ অক্টোবর ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা এবং সাবেক বিচারপতির নাম রয়েছে।