সদ্য সংবাদ
দেশে এসে শেষ টেস্ট খেলতে পারবেন কিনা, স্পষ্ট করে দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

কানপুর টেস্ট শুরুর এক দিন আগে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। তবে তার ইচ্ছে শেষ আন্তর্জাতিক টেস্ট ঘরের মাঠে খেলার। তার ইচ্ছে থাকলেই তো হবে না। কিন্তু নিরাপত্তার ইস্যুতে সাকিব শেষ পযন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলবেন কিনা তা অনিশ্চিত।
সম্প্রতি রাজনীতিতে নাম লেখান সাকিব আল হাসান। শেষ সব জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিতও হন তিনি। পর পর থেকে সাধারণের চোখে অবস্থান বদলেছে সাকিবের। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকেই আত্মগোপনে আছেন, অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এরই মধ্যে রাজধানীর আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে সাকিবের নামে। শুধু তাই নয় তার নামে শেয়ার বাজারের কেলেংকারিও রয়েছে। সেই সূত্রে সাকিব জানিয়েছিলেন, দেশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলেই অক্টোবরে মিরপুরে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে নামবেন তিনি। শুধু তাই নয়, খেলা শেষ করে নিরাপদে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তাটাও চেয়েছেন তিনি।
অবশেষে সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুতে সবুজ সংকেত পেল। আসিফ মাহমুদ এ ব্যাপারটি ক্লিয়ার করে বলে দিলেন। তিনি বলেন, সাকিব এমন একজন খেলোয়াড়, যার দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে। তিনি যেহেতু নিজের দেশে শেষ ক্রিকেট খেলতে চান আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই সে সুযোগ তিনি পান’
এবার সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুতে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের পরিচয় দুটি, এটি মনে রাখতে হবে। তিনি একজন খেলোয়াড়। সে হিসেবে তার যতটা নিরাপত্তা দেয়া দরকার সেটা দেয়া হবে। অপরদিকে তিনি একজন রাজনীতিবিদও। আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতি করেছেন। মানুষের মধ্যে এই দুই পরিচয় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। এখন খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের একজন খেলোয়াড়কে যতটুকু নিরাপত্তা দেয়ার দরকার ততটুকু আমরা দেব।’
এসময় সাকিবের প্রতি অনেকটা শর্ত আরোপের সুরে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে যদি ক্ষোভ থাকে, তাহলে নিজেকেই তার সংশোধন করতে হবে। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সাকিবকেই স্পষ্ট করতে হবে।
আসিফ মাহমুদ যোগ করেন, ‘রাষ্ট্রের জায়গা থেকে রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিককেই নিরাপত্তা দিতে বাধ্য এবং সেটা আমরা অবশ্যই করব। তার বিরুদ্ধে যে হত্যা মামলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই বলেছি এবং আইন মন্ত্রণালয়ও বলেছে, তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে প্রাথমিকভাবেই নাম বাদ দেয়া হবে।’
উপদেষ্টা আসিফ বলেন, তার (সাকিব আল হাসান) রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে যদি ক্ষোভ থাকে, তাহলে…। মনে করুন, আমার নিরাপত্তার জন্য পাঁচজন পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন গানম্যান থাকেন। আমার উপরে যদি দেশের ১৬ কোটি জনগণের ক্ষোভ থাকে, তাহলে তারা আমাকে কী নিরাপত্তা দেবেন?
তিনি বলেন, ‘জনগণের যদি কোথাও ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা আমাকে রিডিউস করতে (কমাতে) হবে আমার কথা দিয়ে। আমার মনে হয়, তার নিজের জায়গা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, রাজনৈতিক জায়গা থেকে, তার যে রাজনৈতিক অবস্থান, তা নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। অলরেডি মাশরাফি বিন মুর্তজা কথা বলেছেন।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা টেনে আনেন। বলনে, ‘শেখ হাসিনাকেও নিরাপত্তা দেয়া যায়নি, তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। সে জায়গায় রাজনৈতিক বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করি। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিরাপত্তা দেয়াই আমাদের দায়িত্ব এবং সে দায়িত্ব আমরা পালন করি।’
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা: ইসলাম কী বলে
- বাংলাদেশকে ঘিরে ইরানের পরোক্ষ বার্তা
- সহবাস শেষে বীর্য বাহিরে ফেললে কি গুনাহ হবে
- বাস্তব সহবাসের দৃশ্য! বাংলা ১০ সিনেমায় না দেখলে চরম মিস
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- আবারও কমে গেল সোনার দাম
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্নগুলো বারবার দেখে — কী বার্তা দেয় এই দৃশ্যগুলো
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিকট শব্দ হতে পারে, আতঙ্ক নয় সতর্ক থাকার পরামর্শ
- নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ!
- অবশেষে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ইতিবাচক বার্তা
- তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো ইরান
- দু’দিনেই বড় পতন স্বর্ণের দামে, বিশ্ববাজারে ধস
- ইরানের জন্য দুঃসংবাদ