সদ্য সংবাদ
যেকারণে সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন

সাকিব আল হাসানের টেস্ট ক্রিকেটের উত্তরাধিকার নির্দ্বিধায় তাকে এই ফরম্যাটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি বাংলাদেশের হয়ে ৭১টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৪৬০৯ রান করেছেন ৩৭.৭৭ গড় নিয়ে, যেখানে তার ঝুলিতে রয়েছে ৫টি সেঞ্চুরি এবং ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি। পাশাপাশি তিনি বল হাতে ২৪৬টি উইকেট শিকার করেছেন ৩১.৭২ গড় নিয়ে। এই পরিসংখ্যান তাকে কেবল বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ম্যাচজয়ী অলরাউন্ডার হিসেবে তুলে ধরেছে।
সাকিব টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং এবং বোলিং গড়ের পার্থক্য বিবেচনায় গারফিল্ড সোবার্স এবং জ্যাক ক্যালিসের পরেই অবস্থান করছেন। তার সেরা ইনিংসগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে করা ২১৭ রান এবং ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭/৩৬ বোলিং ফিগার।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে সাকিবের অবদান অসামান্য। তিনি দলের ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এবং একাধিক জয় এনে দিয়েছেন। ১৫টি টেস্ট জয়ের অংশীদার সাকিব তার ক্যারিয়ারের প্রায় ৩৯.২৭% অবদান রেখেছেন রান ও উইকেটের মাধ্যমে, যা বিশ্ব ক্রিকেটে বিরল। এছাড়া, তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি তিনটি ফরম্যাটেই (টেস্ট, ওয়ানডে, এবং টি-টোয়েন্টি) ১০০টির বেশি উইকেট শিকার করেছেন।
সাকিবের ক্যারিয়ার তার দক্ষতা, পরিশ্রম এবং দলের প্রতি নিবেদনের উজ্জ্বল উদাহরণ। তবে তার অনুপস্থিতি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে। তার অর্জনগুলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।