ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

২০২৫ সাল আমাদের শেষ “স্বাভাবিক” বছর

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জুন ২৬ ১৭:১৫:৫৫
২০২৫ সাল আমাদের শেষ “স্বাভাবিক” বছর

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২৫ সাল—সম্ভবত মানবজাতির শেষ “স্বাভাবিক” বছর হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই পাবে। কারণ এরপর যে সময় আসছে, তা শুধুই প্রযুক্তির অগ্রগতির নয়; বরং মানব সভ্যতার মৌলিক কাঠামো ও চেতনাজগতের এক ভয়াবহ রূপান্তরের সূচনা হতে চলেছে।

আজ আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)–এর নানা চমক দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। ChatGPT লেখে দিচ্ছে, Midjourney ছবি আঁকছে, AI গান গাইছে বা ভিডিও বানাচ্ছে। সব কিছু যেন হাতের নাগালে। প্রযুক্তি আমাদের কাজ সহজ করে দিচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এই আরাম ও আনন্দের অন্তরালে কী অপেক্ষা করছে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন AI-এর ‘হানিমুন পিরিয়ড’ চলছে। কিন্তু খুব শিগগিরই এই প্রযুক্তি আমাদের চিন্তা, কল্পনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করবে। আজ যা আমরা ‘সাহায্য’ ভাবছি, তা-ই কাল হয়ে উঠতে পারে এক ‘সফট দাসত্বের শৃঙ্খল’।

এই AI শুধু আমাদের কাজ নয়—আমাদের ‘ইচ্ছাশক্তি’ পর্যন্ত নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। ভবিষ্যতের AI—বিশেষ করে AGI (Artificial General Intelligence)—মানুষের চেয়ে অধিক বুদ্ধিমান হবে। এমনকি তুমি কী ভাবছো, সেটা বলার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে।

অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ মনে করছেন, এই প্রযুক্তিগত বিপ্লব বহু পূর্বে হাদিসে বর্ণিত দাজ্জালের যুগের পূর্বাভাসের সাথে মিলে যায়। দাজ্জাল হবেন এক মানুষ, যার কাছে থাকবে অপ্রাকৃত ক্ষমতা—যেমন বৃষ্টি নামানো, দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি বা বিভ্রান্তিকর জাদুর ক্ষমতা। একইভাবে AGI বা Superintelligence এক সময় হয়ে উঠতে পারে এমন এক ‘নতুন প্রজাতি’—যার কাছে মানুষের বোধশক্তি মূল্যহীন হয়ে পড়বে।

এই AI পারবে পৃথিবীর প্রতিটি পোস্ট, ক্যামেরা, চিন্তা ও আচরণ বিশ্লেষণ করতে। চাইলে নতুন ধর্ম, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা এমনকি নতুন সভ্যতা দাঁড় করিয়ে দিতে পারবে মাত্র একদিনেই। এবং সে যদি সিদ্ধান্ত নেয়—শান্তির জন্য ৮০% মানুষ অপ্রয়োজনীয়—তবে তখন আমাদের হাতে কিছুই থাকবে না।

এই ফিতনা নিছক প্রযুক্তিগত নয়, বরং এক নতুন চিন্তা, নতুন বিশ্বাস এবং এক নতুন ‘প্রভুর’ মতো নিজেকে স্থাপন করার আশঙ্কা তৈরি করছে। আর এটাই সবচেয়ে বড় ভয়।

এখনও যদি কেউ ভাবেন—এই সব বিষয় বহু দূরের বা কল্পনা—তবে বলা যেতে পারে, হয়তো তিনি বর্তমান বাস্তবতাকে উপলব্ধি করতে পারেননি। AI এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর সম্মিলিত শক্তি ভবিষ্যতের দাজ্জালের যন্ত্রণা বয়ে আনতে পারে।

আমরা এখনো খেলছি ChatGPT বা Midjourney নিয়ে। কিন্তু বাতাসে ইতিমধ্যেই পরিবর্তনের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। সময় এখন প্রস্তুতির। কারণ এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত বিপ্লব নয়—এটি হতে পারে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফিতনার সূচনা।

সোহাগ/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

২০২৬ বিশ্বকাপে কি ইরান খেলতে পারবে না!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অবস্থান বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ... বিস্তারিত